জুমবাংলা ডেস্ক : বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে প্রতীক্ষিত যাত্রার পর পর্যটক নিয়ে প্রথম পর্যটন শহরে এসেছে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ রেলটি। গত শুক্রবার রাতে ১ হাজার ২০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন হতে যাত্রা করে রেলটি গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনে এসে পৌঁছায় বলে জানান কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আতিকুর রহমান। কক্সবাজার-ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে শত বছরের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রাম তথা দরিয়ানগরের মানুষের।
সহকারী স্টেশন মাস্টার আতিক জানান, সিডিউল ছিল সকাল সোয়া ৭টায় বাণিজ্যিক প্রথম রেলটি স্টেশনে পৌঁছাবে। যাত্রায় একটু বিলম্ব হওয়ায় পৌঁছাতেও আধাঘণ্টার মতো বিলম্ব হলো। সংশ্লিষ্ট সবাই রেলটি আসার অপেক্ষায় ছিলাম। ঢাকাগামী যাত্রীদের যেভাবে ফুল দিয়ে অভিবাদন জানানো হয়েছিল ঠিক তেমনিভাবে রেলে প্রথম পর্যটক হয়ে আসা যাত্রীরা নামার সঙ্গে সঙ্গে ফুল ও লিফলেট দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ হতে তাদের অভিবাদন জানিয়ে ঝামেলামুক্তভাবে স্ব স্ব গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
এদিকে, রেলে কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে অধিকাংশ হোটেল কর্তৃপক্ষ। রেলের টিকিট দেখালেই ৬০-৭০ শতাংশ ডিসকাউন্ট মিলছে আবাসনে। তারকা হোটেলগুলোতেও ৫০ শতাংশ এবং ক্ষেত্র বিশেষে ৬০ শতাংশ ডিসকাউন্ট মিলছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় জনশূন্য কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম বাড়াতে এ উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, গত শুক্রবার দুপুরে ১ হাজার ২০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ছেড়ে যায় ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’। ফিরতি ট্রেনটি সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে সকাল ৮টায় কক্সবাজার স্টেশনে এসে পৌঁছায়। ট্রেনে সিংহভাগই পর্যটক।
এসব পর্যটকদের জন্যই ৬০-৭০ শতাংশ ডিসকাউন্ট ঘোষণা করা হয়েছে। হোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ গতকাল এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়। হোটেলে এসে রেলে ভ্রমণের টিকিট প্রদর্শন করলেই এ সেবা পাবেন পর্যটকরা। শনিবার সকালে কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনে সমিতিভুক্ত হোটেলের পক্ষ থেকে পর্যটকদের মধ্যে প্রচারপত্র বিলি করা হয়। একই সঙ্গে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয় পর্যটকদের। এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরাও সহযোগিতা করেন।
কলাতলীর হোটেল বিচ হলিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হাফিজুর রহমান লাভলু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারবাসীর শত বছরের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করেছেন। এ খুশিতে পর্যটকদের জন্য আমরা বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছি। আগামী সাত দিন এ অফার থাকবে।
হোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ বলেন, ট্রেন চালু হওয়ায় শুধু কক্সবাজারের মানুষ নয়, পুরো দেশের মানুষ আনন্দিত। দেশের যে কোনো প্রান্তের মানুষ সহজেই কক্সবাজার আসতে পারবে। এ খুশিতে আমরা বিশেষ এ ছাড় দিচ্ছি। ট্রেনের টিকিট দেখালেই আগামী সাত দিন এ সুবিধা পাবেন পর্যটকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।