জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা সায়মা সুলতানা। চাকরি করেন ফার্মগেটে বেসরকারি হাসপাতালে। দুই সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে তাঁর সংসার। দু’জনের উপার্জনে টেনেটুনে চলে পরিবার।
গত রবিবার প্রতিদিনের মতো দায়িত্ব পালন শেষে বাসায় ফিরছিলেন সায়মা। পথে খামারবাড়ির সামনে দেখতে পান ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে স্বল্পমূল্যে দুধ, ডিম, মাংস বিক্রি হচ্ছে। কিছু সাশ্রয়ের আশায় লাইনে দাঁড়ান তিনি। কিনে নেন এক কেজি করে গরুর মাংস, মুরগি, দুধ এবং এক ডজন ডিম।
সরকারি এই বিক্রয় কেন্দ্রে তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংসের কেজি ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০, ড্রেসড ব্রয়লার ২৫০ টাকা এবং ডিম এক ডজন ১১০ টাকা। অন্যদিকে বাজারে তরল দুধ প্রতি লিটার ৯০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩০০ টাকা এবং ডিম প্রতিডজন ১৪০ টাকা। সবগুলো কিনতে বাজারে একজন ক্রেতাকে ব্যয় করতে হবে ২ হাজার ৫৩০ টাকা। ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রে মিলছে ১ হাজার ৯৪০ টাকায়।
সায়মা সুলতানা বলেন, ‘সীমিত আয় দিয়ে বাজার থেকে ভালো কিছু কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। এখান থেকেই এখন নিয়িমতি কিনব।’
পবিত্র রমজান উপলক্ষে রাজধানীতে ৩০টি স্থানে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
গতকাল খামারবাড়িতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে মাসজুড়ে এসব পণ্য বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সহনীয় রাখতে এই পদক্ষেপ। প্রতিদিন আড়াই টন পণ্য বিক্রি করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।