জুম-বাংলা ডেস্ক : সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও এম এ মান্নানের মুক্তির প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে আওয়ামী লীগের যেসব দোসর ঘাপটি মেরে রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। বিচার বিভাগ ও প্রশাসনে যেসব শপথবদ্ধ মুজিববাদী রয়েছে তাদের সরিয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘কেন সাবের হোসেন চৌধুরী ও এম এ মান্নানকে আটক করা হলো? কেনই-বা ক্লিন ইমেজের দাবি করে মুক্তি দেওয়া হলো? এর মাধ্যমে তো আওয়ামী লীগ সাহস পেয়ে যাবে। তারা মনে করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আওয়ামী লীগের প্রতি সফট কর্নার রয়েছে। আওয়ামী লীগ মাঠে নেমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে।
এ ক্ষেত্রে গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে কিন্তু এই সরকারকে তার দায় নিতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিপ্লব চালিয়ে এসেছি। আমরা কখনোই কোনো সরকারের দালালি করিনি। আমরা এই সরকারেরও দালাল হবো না।
তাদের রাষ্ট্র সংস্কারে আমরা সহযোগিতা করব, একই সঙ্গে তারা ভুল করলে সমালোচনা করব। এই সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কার করতেই হবে। এর আগে তাদের সরানো যাবে না। তবে তারা যদি মনে করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড়া আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না, তাহলে কিন্তু আমরা মেনে নেব না। আওয়ামী লীগ ও তার দোসর জাতীয় পার্টির বিষয়ে ছাত্র-জনতার জিরো টলারেন্স।
ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, ‘সাবেরের মতো ফ্যাসিবাদের দালালরা জামিনে বের হয়ে এলে, মান্নানের মতো খুনের পরিকল্পনাকারীরা জামিন পেলে গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে। আওয়ামী লীগ আবার পুনর্জীবিত হবে। আমাদের সবার জেল-ফাঁসি হবে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও তার দোষরদের কোনো জামিন দেওয়া চলবে না। দেশ সংস্কারের পরে জাতীয় নির্বাচন হয়ে গেলে সেটা ভাবা যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘যে বিচারকরা তাদের জামিন দিয়েছেন তাদের বরখাস্ত করতে হবে। প্রশাসন, বাণিজ্য, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব জায়গা থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের উৎপাত করতে হবে। নয়তো ঊর্মি তাবাসসুমের মতো ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দোসররা গোখরা সাপের মতো ছোবল দেবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।