“আমি ‘শুভদা’ সিনেমার কাহিনির কিছুই জানি না। চাষী মামাকে বললাম, সিনেমায় আর কে কে আছেন? জানলাম রাজ্জাক ভাই আছেন। আমিতো মহা খুশি। শুটিং করতে গিয়ে দেখি, তিনি আমাকে ‘চাচি’ বলে ডাকছেন। আমি তো হতাশ। কারণ আমি ভেবেছিলাম তিনি আমার রোমান্টিক নায়ক।”—এভাবেই কথাগুলো বলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম। অনুষ্ঠানে গুণী এ শিল্পী সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করার পর সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এরপর দীর্ঘ অভিনয়জীবনের নানা বিষয় নিয়ে স্মৃতিচারণ করে এ অভিনেত্রী বলেন, “শুভদা’ সিনেমায় সুচন্দা আপার অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু একদিন চাষী মামা আমাদের বাসায় এসে সিনেমাটির একটি চরিত্র রূপায়ন করার জন্য এমনভাবে অনুরোধ করেন যে, আমি আর না বলতে পারিনি।”
সিনেমাটিতে অভিনয়ের জন্য সুচন্দাও অনুরোধ করেন আনোয়ারাকে। এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, “সুচন্দা আপার সিনেমা আমি করতে প্রথমে রাজি হইনি। তাই চাষী মামা ফোনে তার সঙ্গে আমার আলাপ করান। আমাকে আপা বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। শেষ পর্যন্ত আমি সিনেমাটি করি।”
তবে এ সিনেমায় আনোয়ারা তার নায়ক হিসেবে পান গোলাম মুস্তাফাকে। সেই বিস্ময় প্রকাশ করে আনোয়ারা বলেন, “পরে আমি জানতে পারি আমার হিরো হলেন গোলাম মুস্তাফা ভাই। তখনো আমি অবাক। কারণ তিনি অনেক বড় মাপের একজন শিল্পী। মন দিয়ে ‘শুভদা’ সিনেমার কাজ শেষ করি। অনেক পুরস্কারও পাই।”
কুমিল্লার মেয়ে আনোয়ারা অভিনেতা আজমের মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন। ষাটের দশক থেকে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ক্যারিয়ারে ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে—‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘মরণের পরে’, ‘রাধা কৃষ্ণ’, ‘বাংলার বধূ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘শুভদা’ ইত্যাদি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।