জুমবাংলা ডেস্ক : রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন, এবং শেষ বয়সেও জড়াবেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। আজ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নই। আমি বুড়ো বয়সে কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হতেও চাই না।’
তিনি বলেন, ‘পেশাজীবী হিসেবে দেশ, জাতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কিছু করতে চাই। এই বিশ্ববিদ্যালয় কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়। একার কারও নয়, এটা সবার বিশ্ববিদ্যালয়।’
আজ মঙ্গলবার অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানকে ঢাবির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। এর আগে গতকাল সোমবার থেকে গুঞ্জন ওঠে তিনিই ঢাবির উপাচার্য হচ্ছেন। এরপর থেকে তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়েও আলোচনা ওঠে।
আজ জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩-এর আর্টিকেল ১১ (২) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানকে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
এতে শর্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়, উপাচার্য পদে এ নিয়োগ যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর হবে; উপর্যুক্ত পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন; বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন; রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান ঢাবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের শিক্ষক। তিনি বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলস সোয়ানসি, এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ ও গবেষণা করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যে অ্যাকাডেমিক ও কার্যকরি ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্টের উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।