জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলি বিনিময়, ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে এক পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন তিনজন। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং একটি বাড়ি ও বিএনপির একটি অফিস ভাঙচুর করা হয়।
শুক্রবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হয়ে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলে সংঘর্ষ। আহতরা হলেন- মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ শাখার কন্সটেবল তোফাজ্জল হোসেন, স্থানীয় বাসিন্দা সনি ও এক রিকশাচালক। আহতরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকার মুন রাবেয়া টাওয়ার থেকে যুবলীগ নেতা সাব্বির বাবুকে ধরিয়ে দেয় মহিলা দলের নেত্রী লাভলী। এর জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপির এক পক্ষের লোক এসে লাভলীর বাড়িতে ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা সেখান থেকে সরে গেলে পরে নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকায় লাভলী গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে নগরীর শালবাগান পর্যন্ত। এর পর থেকে দড়িখড়বোনা, শালবাগান ও রেলগেট এলাকায় থেমে থেমে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পরে আরেকটি গ্রুপ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের রাস্তায় মহুর মহুর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। রাস্তায় থাকা এক শিক্ষার্থীরসহ আজকের পত্রিকার মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার জাহিদ হাসান সাব্বিরের মোটরসাইকেলে আগুন দেয় হামলাকারীরা। পরে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে নগর পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান গণমাধ্যমকে বলেন, তারা নিজেরাই সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, থানায় কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।