জুমবাংলা ডেস্ক : প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে বাতিল হওয়া বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে নতুন চিন্তা করছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাশাপাশি লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হতে পারে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পিএসসি’র একটি সূত্র জানিয়েছে, রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষার কারণে পিএসসির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এজন্য এই পরীক্ষা নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করছে কমিশন। চলতি সপ্তাহে কমিশনের সভায় রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসি’র এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় শুধু প্রিলিমিনারি অংশ ছিল। প্রিলিতে উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতেন। তবে এবার আমরা প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর লিখিত পরীক্ষা নিতে পারি। বিষয়টি নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
কবে নাগাদ পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা হলো মার্চের প্রথম সপ্তাহে রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করার। চলতি সপ্তাহে কমিশনের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।’
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের পরীক্ষা বাতিল করে পিএসসি। ওইদিন এক বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি জানায়, অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গত ৫ জুলাই তারিখে অনুষ্ঠিত রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে গৃহীত এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষা বাতিল করা হলো।’
গত ৫ জুলাই রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষায় অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ৭ জুলাই বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে পিএসসির অধীন অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে পিএসসির কর্মকর্তারা প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়।
এরপর থেকে পিএসসির অধীন নিয়োগ পরীক্ষায় ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৭ নভেম্বর দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে পিএসসি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।