রামচরণের সুখী দাম্পত্য জীবনের রহস্য

রামচরণের সুখী দাম্পত্য

লাইফস্টাইল ডেস্ক : ‘আরআরআর’ অভিনেতা রামচরণ তেজা তার কলেজের বান্ধবী উপাসনা কামিনেনি কোনিদেলাকে বিয়ে করেন ২০১২-র ১৪ জুন। তাদের দীর্ঘ দশ বছরের দাম্পত্য রসায়নের মুহূর্তগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমন ভাবে প্রকাশ্যে আনেন না এই জুটি।

রামচরণের সুখী দাম্পত্য

তবুও সংবাদমাধ্যমের সামনে যখনই তারা একসঙ্গে আসেন, তাদের নিয়ে চর্চার শেষ নেই। নিজেদের কাজ দক্ষতার সঙ্গে সামলিয়েও কীভাবে দাম্পত্য জীবনের সুখ অনুভব করা যায়, রামচরণ-উপাসনার সম্পর্ক তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তাদের সুখী দাম্পত্য জীবনের রহস্য কী? চলুন জেনে নেয়া যাক-

একে অপরের কাজকে সম্মান করা

রামচরণের স্ত্রী উপাসনা ‘অ্যাপোলো চ্যারিটি’-র ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ‘বি পজিটিভ’ ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক। রামচরণের মতোই উপাসনাও তার কর্মক্ষেত্রে যথেষ্ট সফল। তারা দু’জনেই একে অপরের কাজকে সম্মান করেন। কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও তারা পরস্পরের জন্য সময় বের করে নিতে ভোলেন না।

পরস্পরের সাফল্যগুলো উদযাপন করা

নেটমাধ্যমের একটি পোস্টে দেখা গিয়েছে বড় পর্দায় ‘আরআরআর’ ছবিটি দেখতে এসে উপাসনা বেশ উৎসাহিত। ‘নাটু নাটু’ গানের ছন্দে আর পাঁচজন ভক্তদের মতো তিনিও পর্দার দিকে কাগজ ওড়ালেন। স্বামীর ছবির সাফল্যে তিনি কতখানি আনন্দিত, তা তার হাবেভাবে স্পষ্ট। ছবির শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনেও উপাসনা স্বামীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

একে অন্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া

একটি সম্পর্কে কেবল সঙ্গীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে যত্নশীল হলেই চলবে না। সঙ্গীর ছোটখাটো চাহিদার প্রতিও নজর দিতে হবে। সঙ্গী খেতে বসে পানি নিতে গেলে পানির গ্লাসটি বাড়িয়ে দেওয়া, কোনো কাজের মাঝে সঙ্গীর চোখে চুল পড়লে নিজের হাতে তা সরিয়ে দেওয়া- সামান্য এই কাজগুলো সম্পর্কের রসায়ন আরও গাঢ় করবে। সংবাদমাধ্যমের সামনে এলেই রামচরণ-উপাসনার দাম্পত্য রসায়ন সবার নজর কাড়ে।

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে বয়সের জটিলতা নিরসন হলো

সারাদিনে অল্প হলেও একান্তে সময় কাটান

উপাসনার মতে, সুখী দাম্পত্য পেতে হলে একে অপরের সঙ্গে একান্তে সময় কাটান। হাজারো কাজের মাঝে আধা ঘন্টা হলেও পরস্পরকে সময় দিন। সেই সময়টুকু একসঙ্গে টিভি দেখুন কিংবা রাতের খাওয়াদাওয়া সেরে একসঙ্গে হাঁটতে বেরিয়ে পড়ুন। সারাদিনের ভালো-মন্দ ঘটনাগুলো সঙ্গীর সঙ্গে ভাগ করে নিন। এই ছোট ছোট বিষয়গুলোই সম্পর্ককে মজবুত করবে বলে মত তাদের।