বিনোদন ডেস্ক : দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার চিরঞ্জীবীর পুত্র রাম চরণ। তারকা সন্তানদের সবাই পূর্বসূরির সম্মান ধরে রাখতে পারেন না। কিন্তু রাম চরণ পুরোপুরি ব্যতিক্রম। মেধা আর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের শক্ত ক্যারিয়ার গড়েছেন এই তারকা অভিনেতা।
২০০৭ সালে ‘চিরুথা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে পা রাখেন রাম চরণ। তেলেগু ভাষার এ সিনেমায় রাম চরণ তার সহশিল্পী হিসেবে পান নেহা শর্মাকে। এটি পরিচালনা করেন পুরি জগন্নাথ। মুক্তির পর বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলে। শুধু তাই নয়, নবাগত অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও জিতে নেন রাম চরণ।
চলচ্চিত্রে পা রেখে প্রশংসা কুড়ান রাম চরণ। অভিষেক সিনেমা বক্স অফিস সফলতা পাওয়ার পরও দুই বছর নতুন কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেনি। কিন্তু দুই বছর পর ‘মাগাধিরা’ সিনেমা নিয়ে রুপালি পর্দায় ফিরেন রাম চরণ। অর্থাৎ ২০০৯ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এসএস রাজামৌলি নির্মিত এ সিনেমায় রাম চরণের বিপরীতে অভিনয় করেন কাজল আগরওয়াল। মুক্তির পর সর্বোচ্চ আয় করা তেলেগু সিনেমার তালিকায় উঠে যায় এটি। এর মাধ্যমে লাইমলাইটে উঠে আসেন রাম চরণ। সেরা অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও লাভ করেন তিনি। এ সিনেমার বদৌলতে ভারতের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে রাম চরণের খ্যাতি।
‘মাগাধিরা’ সিনেমায় কুড়ানো খ্যাতির আলো রাম চরণের ক্যারিয়ারে পথ নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। এরপর বেছে বেছে কাজ করেন তিনি। ২০১৭ সাল পর্যন্ত খুব বেশি সিনেমায় অভিনয় করেননি। অধিকাংশ বছরে একটি করে সিনেমায় অভিনয় করেন। ২০১৮ সালে ‘রাঙ্গাস্থালাম’ সিনেমায় অভিনয় করে ফের নজর কাড়েন রাম চরণ। এতে প্রথমবার তার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। সুকুমার পরিচালিত এ সিনেমাও বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলে। বাজেটের ৪ গুণ ব্যবসা করে এটি।
২০২২ সালে এস এস রাজামৌলি নির্মাণ করেন ‘ট্রিপল আর’ সিনেমা। অনেকটা বিরতির এ পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেন রাম চরণ। পিরিয়ড-অ্যাকশন-ড্রামা ঘরানার এ সিনেমায় আল্লুরি চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা করেন তিনি। সিনেমাটির খ্যাতি ভারতের সীমানা ছাড়িয়ে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সিনেমাটির ‘নাটু নাটু’ গান অস্কার পুরস্কার লাভ করে। বক্স অফিসেও ঝড় তুলেছিল এটি।
শুরুতে খুব কম টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন রাম চরণ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে টাকার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। ‘চিরুথা’ অর্থাৎ অভিষেক সিনেমায় অভিনয়ের জন্য রাম চরণ ৫০ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৫ লাখ টাকার বেশি) পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন। ঠিক তার দুই বছর পর ‘মাগাধিরা’ সিনেমায় অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দেন। তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। দ্বিতীয় সিনেমা মুক্তির পরই বেড়ে যায় রাম চরণের পারিশ্রমিক।
রাশিয়ায় বরফ গলা জলে নদী টইটম্বুর, ৮০ বছরের মধ্যে ভয়াবহ বন্যা
টাইমস অব ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সালে রাম চরণ প্রতি সিনেমার জন্য ১০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন। ২০১৫ সালে নেন ১২ কোটি রুপি। ২০২২ সালে ‘ট্রিপল আর’ সিনেমার জন্য রাম চরণ পারিশ্রমিক নেন ৪৫ কোটি রুপি। এ সিনেমা মুক্তির পর আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। পারিশ্রমিক নেওয়ার পাশাপাশি সিনেমার লভ্যাশং নিতে শুরু করেন রাম চরণ। বর্তমানে প্রতি সিনেমার জন্য ৭০-৮০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন রাম চরণ (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯২-১০৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার বেশি)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।