লাইফস্টাইল ডেস্ক: আত্মশুদ্ধির মাস রমজানে রোজা রাখলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বাড়ে। রমজানের প্রতিটি দিনের লক্ষ্য হচ্ছে শারীরিক, মানসিক, পারিবারিক, সামাজিক ও আত্মিকভাবে সুস্থ থাকার চেষ্টা করা।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস এবং হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনায় তাবরানী শরীফে বলা হয়েছে, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রোজা রাখো, যাতে তোমরা সুস্থ থাকতে পারো’।
প্রায় দেড় হাজার হাজার বছর আগে রসুলুল্লাহ (সা.) এর অমর-অক্ষয় বাণীর উপর ভিত্তি করে জাপানি গবেষক ইউশিনোরি ওশুমি তার গবেষণায় বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ কররেছন রোজা বা উপবাস কীভাবে দেহকে টক্সিনমুক্ত করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। অটোফেজি নামে এই গবেষণার জন্যে তিনি নোবেল পুরস্কারও পেয়েছেন।
রমজানে অশুদ্ধ জীবনাচার থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে। অপ্রয়োজনীয় কথা, চেঁচামেচি করা, ঝগড়া-বিবাদ, পরনিন্দা, পরচর্চা, গীবত বর্জন করতে হবে
গবেষণায় দেখা গিয়েছে অটোফেজি বা রোজা বা উপবাসে প্রদাহ, জ্বালাপোড়া, ব্যথা, সংক্রমণ, ফুলে যাওয়া কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বাড়ে। অকাল বার্ধক্য শুধু প্রতিরোধই করে না, মস্তিষ্কও ক্ষুরধার হয় রোজা রাখলে।
অটোফেজিকে গবেষক ওশুমি যেভাবে শরীরের শুদ্ধি প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেছেন, সেই একই বর্ণনা ইবনে মাজাহ শরিফে হযরত আবু হুরায়রা বর্ণিত রসুলুল্লাহ’র (সা.) হাদীসে পাওয়া যায়। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সবকিছুর যাকাত রয়েছে। যাকাত অর্থ হচ্ছে শুদ্ধি প্রক্রিয়া, শরীরের যাকাত হচ্ছে রোজা’।
রমজানে অশুদ্ধ জীবনাচার থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে। আজেবাজে অপ্রয়োজনীয় কথা, অকারণে চেঁচামেচি করা, ঝগড়া-বিবাদ থেকে দূরে থাকতে হবে। পাশাপাশি পরনিন্দা, পরচর্চা, গীবত বর্জন করতে হবে। এমন কী ইফতার-সাহরিতে খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমিতি বোধ বজায় রাখাও হচ্ছে রমজানের অন্যতম শর্ত। নিয়ম মেনে রোজা রাখলে নানা রকম সংক্রমণ ও অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়। দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সর্বতোভাবে কর্মক্ষম করে তোলে এক মাসের সিয়াম সাধনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।