লাইফস্টাইল ডেস্ক ; রমজানে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার ও সেহরিতে খাবারের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। সঠিক খাবার না খেলে শরীরে ক্লান্তি, অ্যাসিডিটি, পেটের সমস্যা, ওজন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই রোজায় স্বাস্থ্যকর, সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক, রোজায় কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত এবং কোন খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।
Table of Contents
যা খাবেন
রমজানে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে নিচের খাবারগুলো রাখতে পারেন—
জটিল শর্করাযুক্ত খাবার
জটিল শর্করা ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে, ফলে দীর্ঘক্ষণ এনার্জি বজায় থাকে। সেহরিতে ভাত, চিড়া, ওটস, চাপাতি বা রুটি খেতে পারেন। ইফতারেও এই ধরনের খাবার যোগ করা যেতে পারে।
সবজি ও ফল
সেহরিতে চিড়া বা ওটসের সঙ্গে দুধ ও ফল মিশিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যকর হবে। ইফতারে ফল রাখা জরুরি, কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি ও পানি থাকে, যা শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার
সেহরিতে পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা কম অনুভূত হয়। মাছ ও মুরগির মাংসের মতো প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট
শক্তি বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যকর ফ্যাট গুরুত্বপূর্ণ। বাদাম, অলিভ অয়েল ও মাছের তেল ভালো অপশন হতে পারে।
পর্যাপ্ত পানি ও হাইড্রেটেড বেভারেজ
শরীর হাইড্রেট রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন। ইফতারে ফলের শরবত বা ডাবের পানি খেতে পারেন, তবে অতিরিক্ত চিনি দেওয়া উচিত নয়।
খেজুর
ইফতার ও সেহরিতে খেজুর খেলে দ্রুত এনার্জি পাওয়া যায় এবং এটি প্রাকৃতিক ফাইবার ও মিনারেলে সমৃদ্ধ।
যা খাবেন না
রমজানে কিছু খাবার পরিহার করা ভালো, যাতে শরীর সুস্থ থাকে—
ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার
ইফতারে ভাজাপোড়া খেলে গ্যাস, পেট ফাঁপা ও হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই এই ধরনের খাবার কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বেশি চিনিযুক্ত খাবার
কৃত্রিম চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে প্রাকৃতিক চিনির দিকে নজর দেওয়া ভালো। বেশি চিনি খেলে শরীরে শর্করার মাত্রা দ্রুত ওঠানামা করতে পারে।
সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার শরীরের পানির ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে, যা পানিশূন্যতার ঝুঁকি বাড়ায়।
ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার
ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে, যা রোজার সময় শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
অতিরিক্ত ফাইবারযুক্ত খাবার
অতিরিক্ত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার পেট ফাঁপা বা হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে, তাই এটি নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
স্টার্চযুক্ত খাবার
আলু ও মিষ্টি আলুর মতো স্টার্চযুক্ত খাবার বেশি খেলে পেটে অস্বস্তি হতে পারে।
প্রসেস করা খাবার
প্রসেস করা খাবারে অতিরিক্ত লবণ ও সংরক্ষণকারী উপাদান থাকে, যা ওজন বাড়ানো ও হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
সূত্র: হেলথইন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।