বিনোদন ডেস্ক : বিয়ের আগের রাতে শেষমেশ সিলমোহর দিয়েছিল পরিবার। পরদিনই সাত পাকে ঘুরছেন রণবীর কপূর এবং আলিয়া ভট্ট। দেশে বা বিদেশে ছবির মতো সাজানো বাসরে নয়, এমনকি মুম্বইয়ের নামী হোটেলের ব্যাঙ্কোয়েটেও নয়। বান্দ্রায় নিজেদের ফ্ল্যাটের বারান্দাতেই রণবীরের গলায় মালা দিয়েছিলেন আলিয়া। উপস্থিত ছিল শুধু কপূর ও ভট্ট পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধুবান্ধব। কিন্তু এমনটা নাকি পরিকল্পনা ছিলই না বর-কনের! বিয়ের প্রায় এক মাস বাদে এই প্রথম জানালেন রণবীরের মা, নীতু কপূর!
এত রাখঢাক-লুকোচুরি পেরিয়ে মহা ধুমধামে ছেলের বিয়ে দেওয়ার পর সত্যিটা অবশেষে বলেই ফেললেন নীতু। মুম্বইয়ে ‘বাস্তু’র বারান্দায় নয়, ‘রণলিয়া’র নাকি ইচ্ছে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকায় চুপিসাড়ে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং সারবেন! নীতুর কথায়, ‘‘ওরা বলেছিল, আমরা সার্কাস চাই না। কাউকে জানাতেও চাই না। শুধু নিজেরা নিজেদের মতো করে বিয়েটা করতে চাই। কত পরিকল্পনা করেছিল দু’জনে! দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে আগে রেকি সেরে আসবে, এটা করবে, সেটা করবে! সব জলে গেল! শেষমেশ বিয়েটা হল নিজেদের বাড়িতেই!’’
কপূরদের বাড়ির ছেলের বিয়ে বলে কথা! তাতে আবার এই মুহূর্তে বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকা জুটি। রণবীর-আলিয়ার বিয়ে নিয়ে কৌতূহলের পারদ চড়ছিল বহু দিন থেকেই। প্রথমে শোনা গিয়েছিল ২০২০-তেই বিয়ে হবে দু’জনের। পরে তা পিছিয়ে যায়। বিয়ে নিয়ে ‘রণলিয়া’ তো বটেই, দুই পরিবার, বিশেষত কপূর খানদান মুখে কুলুপ এঁটে থাকায় ক্রমশই বাড়ছিল জল্পনা ও শোরগোল।
নীতু বলেন, ‘‘লোক জানাজানির ভয়েই শেষমেশ সিদ্ধান্ত হয়, বিয়েটা হবে বাড়িতেই। এক মাসে আমরা বিয়ের সব প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। নিজেরা কেনাকাটা বা কোনও রকম আয়োজন, বিলিব্যবস্থা করতে বেরোতে পারিনি। অন্যরা সব করে দিতেন। শেষমেশ বাড়ি আলোয় সাজানো এবং সব্যসাচীর বিয়ের পোশাক এসে পৌঁছনোয় জানাজানি হয়ে যায়। তবে একেবারে ঘনিষ্ঠদের উপস্থিতিতে এ ভাবে বিয়েটাই দারুণ হয়েছে। ছ’তলা থেকে আট তলায় আমরা নাচতে নাচতে গিয়েছি। পরিবারের সবাই মিলে দারুণ আনন্দ করেছি!’’
গত ১৪ এপ্রিল বিয়ে হয় রণবীর-আলিয়ার। দু’জনে এখন সুখী সংসারী। বিয়ের অনুষ্ঠান, রীতি-রেওয়াজ পালন সেরে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’র নায়ক-নায়িকা আবার ফিরে গিয়েছেন কাজে। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের চেনা ব্যস্ততায়।
খোলা মেলা বেবি বাম্পের ছবি দিয়ে মা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন পরীমণি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।