জুমবাংলা ডেস্ক : রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাকে ব্যাপক ভোটে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান। মসিউর রহমানও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন। আজ রাত ৯টার দিকে গঙ্গাচড়ার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজয়ী সংসদ সদস্য গঙ্গাচড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি এখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।
এ আসন গঙ্গাচড়া ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।
এ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, কেটলি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৯২৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩২ ভোট। এই আসনে ভোটার ৩ লাখ ৩২ হাজার ২২২ জন। মোট কেন্দ্র ১২৩টি।
২০০১ সালে জাতীয় পার্টি থেকে এ আসনে সংসদ সদস্য হন মসিউর রহমান। ২০০৮ সালে এ আসনে সংসদ সদস্য হন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার। ২০১৪ সালে মসিউর রহমান আবার এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য হয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী হন। ২০১৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে জয়ী হয়ে তিনি জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ হন।
মসিউর রহমান ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ২৬ জুলাই পর্যন্ত জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তবে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর রওশন এরশাদ ইস্যুতে পক্ষ নেওয়ায় জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ দলের সব পদ-পদবি থেকে মসিউর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে এ আসনে নৌকা প্রতীক পান রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম। কিন্তু পরে লাঙ্গলের প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ারকে আসনটি ছেড়ে দিয়ে রেজাউল মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার বিপুল ভোটে পিছিয়ে পড়েছেন বলেও জানা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।