জুমবাংলা ডেস্ক : রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতের ঘটনায় অনির্দিষ্ট কালের পরিবহন ধর্মঘট ও তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার অবরোধ চলছে।
তিন পার্বত্য জেলায় অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। একই সঙ্গে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বাস, সিএনজি, ট্রাক ভাঙচুর ও শ্রমিক আহতের প্রতিবাদে মালিক শ্রমিক যৌথ বিবৃতিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়।
শুক্রবারের সংঘর্ষের ঘটনায় ফুটে উঠেছে ক্ষত চিহ্ন। বেশ কিছু দোকানে আগুন দেয়া হয়। পুড়ে গেছে ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শনিবার এরই প্রভাবে রাঙামাটি থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায় নি এবং আসেওনি। আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরের একমাত্র পরিবহন সিএনজি চলাচল করছে না। এতে এই রুটে চলাচলকারীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। দোকানপাট শপিংমল এখনো খোলেনি কেউ।
রাঙামাটি শহরের পৌর এলাকায় এখনো ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। শহরের মোড়ে মোড়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি টহল দিচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যারাই ঘর থেকে বের হচ্ছেন তাদেরই টহল দলের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি থমথমে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র থেকে যানা যায়, শুক্রবার তুলনায় শনিবারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় শনিবার সকাল ১১ টায় করনীয় ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অবঃ), স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীক চাকমা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।