জুমবাংলা ডেস্ক : হরতাল ডেকে রংপুরের মাঠে নেই বিএনপি-জামায়াতের নেতা কর্মীরা। শহরে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও যাত্রী সঙ্কটে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস। তবে স্বাভাবিক নিয়মে চলছে লোকাল ট্রেন।
আজ (রোববার) সকাল ১০ টা পর্যন্ত রংপুরের কোথায় কোনো পিকেটিং করতে দেখা যায়নি হরতাল সমর্থকদের। নেই অপ্রীতিকর ঘটনার খবরও। তবে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ছাড়াও সড়ক মহাসড়কে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়াও সকালে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে নগরীর অধিকাংশ দোকান খুলতে দেখা গেছে। রিকশা-অটোরিকশা ছোট যানবাহনগুলো স্বাভাবিকভাবে চলতে দেখা গেছে। ফলে রংপুরে হরতালের কোন প্রভাব পরেনি জনজীবনে।
এদিকে হরতাল সমর্থকদের নৈরাজ্য ঠেকাতে মাঠে সতর্ক অবস্থায় আওয়ামী লীগ। নগরীর বেতপট্টি এলাকায় শান্তি সমাবেশ করবে দলটি।
এসআর পরিবহনের ফুল বাবু বলেন, সকাল থেকে বাস নিয়ে ঢাকা যেতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু যাত্রী সংকটে এখন পর্যন্ত কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে পর্যাপ্ত যাত্রী পাওয়া গেলে বাস ছেড়ে যেতে পারে।
সকাল থেকে এসআর পরিবহন, এনা পরিবহন, শাহ ফতেহ আলী, আগমনী পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, হানিফসহ বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার যাত্রীশূন্য দেখা গেছে। কিছু কিছু কাউন্টার ছিল তালাবদ্ধ। তবে বেশিরভাগ বাস শ্রমিক ও চালককে বাসে এবং কাউন্টারে শুয়ে বসে সময় কাটাতে দেখা যায়। যাত্রী না থাকায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানান তারা।
একই চিত্র দেখা গেছে রংপুর কেন্দ্রীয় সিটি বাস টার্মিনালে। সেখান থেকে আন্তঃজেলা রুটের কোনো বাস ছাড়েনি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী সংকট কেটে যাবে বলে মনে করছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। বাস টার্মিনালে অন্যান্য দিনের মতো যাত্রী চোখে পড়েনি।
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন, আন্তঃজেলাসহ সব রুটেই গাড়ি চলাচল করবে। আমাদের পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ করেনি। তবে যাত্রী সংকট রয়েছে।
রংপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ফেরদৌস আলী চৌধুরী বলেন, হরতালে মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। এরপরও শহর ও মহাসড়কে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।