স্পোর্টস ডেস্ক : অল্প রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিল রংপুর রাইডার্স। তবে সাইফ হাসান ও অ্যালেক্স হেলসের ব্যাটে চড়ে উত্তরবঙ্গের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি ৮ উইকেটের সহজ জয় পেল। এবারের বিপিএলে টানা ৩ জয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখল নুরুল হাসান সোহানের দল।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশাল ১৮.২ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে তোলে ১২৪ রান। জবাবে রংপুর ৩০ বল হাতে রেখেই ২ উইকেট হারিয়ে অনায়াসে জয় নিশ্চিত করে।
বিপিএলে নিজের অভিষেক ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন ইকবাল হোসেন ইমন। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে কভারে থাকা মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দেন আজিজুল হাকিম তামিম।
সর্বশেষ যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন আজিজুল হাকিম তামিম ও ইকবাল হোসেন ইমন। যুব এশিয়া কাপজয়ী অধিনায়ক আজিজুলের রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে বিপিএলে অভিষেক হয়েছে। যুব এশিয়া কাপ জয়ী অধিনায়ক লাল-সবুজের জার্সিতে তার সতীর্থের বলে গোল্ডেন ডাক মারেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায় রংপুর।
ঐ ওভারে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ফরচুন বরিশালের উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। তার বদলে গ্লাভস হাতে নামেন প্রীতম কুমার। ওভারের তৃতীয় বলে স্কয়ারে তানভীরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রানের খাতা না খোলা তৌফিক খান।
এরপর হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া সাইফ হাসান এবং ওপেনার অ্যালেক্স হেলসের ব্যাটে চড়ে অনায়াসেই জিতে যায় রংপুর। তৃতীয় উইকেটে তারা অবিচ্ছিন্ন ১১৩ রানের জুটি গড়েন। সাইফ ৪৬ বলে ৬ ছক্কা ও ৩ চারে ৬২ এবং হেলস ৪১ বলে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে সন্ধ্যায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় রংপুর রাইডার্স। নাজমুল হোসেন শান্তও বেশ ভালো শুরু করেছিলেন। তবে ব্যক্তিগত ৯ রানে মেহেদী হোসেনের ওপর চড়াও হতে গিয়ে কাভারে আজিজুল হাকিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।
তামিমকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। তিনি আকিফের লেন্থ ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলে। বল ব্যাটের উপরের কানায় লেগে ফাইন লেগে নাহিদ রানার তালুবন্দি হন। নাহিদের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে থামে তামিমের ১৮ বলে ২৮ রানের ইনিংস।
মুশফিকুর রহিম ব্যক্তিগত ১৫ রানে এলবিডব্লিউ হন খুশদিল শাহের বলে। কাইল মায়ার্সকে ১৩ রান করে ইফতিখার আহমেদের শিকার হন। ফাহিম আশরাফকেও তিনি ফেরান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। তাকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানিয়ে বোল্ড করেন নাহিদ। এরপর শাহীন শাহ আফ্রিদি তার স্বদেশি খুশদিলের বলে বোল্ড হন।
দলীয় ১০৬ রানের মাথায় ফেরেন তানভীর। রানের খাতা না খুলে রান আউট হলেও ২১ রানে অপরাজিত মোহাম্মদ নবীর সঙ্গে শেষ উইকেট জুটিতে ১৮ রান যোগ করেন ইকবাল হোসেন ইমন।
রংপুরের হয়ে খুশদিল ১৮ রানের বিনময়ে পান ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন ইফতিখার আহমেদ ও নাহিদ রানা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।