বিনোদন ডেস্ক : পাকিস্তানের একমাত্র নারী ডিজে নেহা খানের সাফল্য এবং খ্যাতি এখন আকাশছোঁয়া। তবে তাঁর এই যাত্রাপথ মোটেও সহজ ছিল না। তাঁর ক্যারিয়ার বহুবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি পেশাগত কারণে কিছু লোক তাঁকে বেশ ভালোভাবেই টার্গেট করেছিল।
সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে সবই বললেন নেহা। নেহা বলেছেন, আমি একটি মিউজিক্যাল ইভেন্টের পর কিছু অজ্ঞাত লোকের দ্বারা লক্ষ্যবস্তু হয়েছিলাম। কারণ সেই অনুষ্ঠানে আমিই একমাত্র নারী শিল্পী ছিলাম। আমাকে সেখানে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয় এবং ভবিষ্যতে এমন কাজ থেকে দূরে থাকার হুমকি দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, কেউ কেউ তাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন।
নেহা পাকিস্তানের প্রথম এবং একমাত্র নারী ডিজে, যিনি এখন তাঁর সংগীতের জন্য বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত। তবে নেহা মিডিয়ার সামনে খুব একটা ধরা দেন না। সম্প্রতি তিনি প্রথম সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তাঁর ডিজে হয়ে ওঠার পথ কেমন ছিল সেসব বলেন। জানান নারী ডিজে হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য তাঁকে কম হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়নি।
নেহা খান ওই সাক্ষাৎকারে আরো বলেন যে তিনি যখন কানাডায় ছিলেন, তখন থেকেই সংগীতের ওপর আবেগ জন্মায়। যা পরবর্তী সময়ে তাঁর নেশায় পরিণত হয়। নেহা খান যখন পড়াশোনা শেষ করে পাকিস্তানে ফিরে আসেন। তখনো জোরে কণ্ঠ প্রদানের জন্য তাঁকে জনসমক্ষে অনেক সমালোচনারও শিকার হতে হয়। কিছুদিন পর বন্ধুদের সহযোগিতায় সুযোগ পেলে সেখান থেকেই শুরু হয় ডিজে কেরিয়ার। নেহা খান বলেন, পাকিস্তানের মতো জায়গায় ডিজে হয়ে ওঠা চাট্টিখানি কথা ছিল না। নানা কটূক্তির মুখে পড়তে হয়েছিল।
নেহা বলেছিলেন, তিনি ২০২১ সালে হুনজা ফেস্টে খেলার পর থেকে পাকিস্তানের অনেক লোকের জীবন তাঁর জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল। কারণ ওই উৎসবে ছিলেন পাঁচজন পুরুষ। যার মধ্যে একমাত্র নারী শিল্পী ছিলেন নেহা খান। যা মৌলবাদী ও চরমপন্থীদের কাছে শোভা পায়নি। সেখান থেকেই হুমকি দেওয়া শুরু হয়। অনেক ফোন আসে। মেসেজ আসে। যার মধ্যে ছিল প্রাণনাশের হুমকি। সেই কারণে তিনি আর পাকিস্তানে ফিরতে পারেননি, কারণ লোকেরা বিমানবন্দরেই তাকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।