আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে সম্প্রতি দুর্লভ ট্যানটালাম ধাতুর সন্ধান পাওয়া গেছে। সুইডেনে আজ থেকে ২২১ বছর আগে সর্বপ্রথম এই পদার্থটি পাওয়া যায়। ট্যানটালাম মাটিতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বৈদ্যুতিক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরিতে এটা ব্যবহৃত হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবদনে জানা যায়, বিরল এই ধাতুটি ভারতে পাঞ্জাবের শতদ্রু নদীর বালিতে পাওয়া গেছে। প্রাথমিক অবস্থায় এটি অত্যন্ত নমনীয় থাকে। নীল-ধূসর রঙের পদার্থটিকে প্রক্রিয়াজাত করলে অত্যন্ত শক্ত হয়ে যায়।
সহজে ক্ষয় না হওয়ায় বিশেষজ্ঞরা ট্যানটালামকে ক্ষয় প্রতিরোধী পদার্থ বলে থাকেন। ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার কম কোনো স্থানে সংরক্ষণ করা হলে কোনো রাসায়নিক এর ক্ষতি করতে পারে না। তবে হাইড্রোফ্লোরিক অ্যাসিড, ফ্লোরাইড আয়নযুক্ত দ্রবণ কিংবা সালফার ট্রাইঅক্সাইডের সংস্পর্শে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ট্যানটালাম দিয়ে যে ক্যাপাসিটর তৈরি করা হয় তা অত্যন্ত কম লিক্যাজে অনেক বেশি বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতে পারে। ফলে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা ডিজিটাল ক্যামেরাসহ নানা বৈদ্যুতিক সামগ্রীতে অন্য ক্যাপাসিটরের চেয়ে ট্যানটালামযুক্ত ক্যাপাসিটর ব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানি। সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতেও ট্যানটালামের দরকার হয়।
অন্যদিকে পারমাণবিক বৈদ্যুতিক চুল্লি, উড়োজাহাজ এবং ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতেও লাগে এই দূর্লভ ধাতু। মানুষের শরীরের কৃত্রিম জয়েন্ট বা অপারেশনের সরঞ্জাম তৈরির কাজেও ট্যানটালাম ব্যবহার করা হয়।
গ্রিক পুরাণের একটি চরিত্র ট্যানটালাসের নামের অনুকরণে ট্যানটালামের নাম রাখা হয়েছে। এর প্রতীক টিএ। এর পারমাণবিক সংখ্যা ৭৩।
সুইডিশ রসায়নবিদ অ্যান্ডারস গুস্তাফ একেনবার্গ সুইডেনের ইটারবির একটি খনিতে ১৮০২ সালে সর্বপ্রথম ট্যানটালাম আবিষ্কার করেন। তবে শুরুর দিকে এটিকে আরেক ধাতু নিওবিয়ামের আলাদা একটি রূপ বলে ধারণা করা হয়েছিল। ৬০ বছর পর ১৮৬৬ সালে সুইজারল্যান্ডের রসায়নবিদ জিন চার্লস গ্যালিসার্ড ডি মারিগনাক ট্যানটালামকে একটি মৌলিক ধাতু বলে ঘোষণা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।