জুমবাংলা ডেস্ক : শেরপুরে নালিতাবাড়ি গারো পাহাড় এলাকায় দুর্লভ প্রজাতির ‘হগ ব্যাজার’ স্থানীয় ভাষায় গোর খোদক বা বালি খোদক শূকর বলে পরিচিত প্রাণীটি শনিবার (২৯ জুন) গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে। পরে প্রাণীটিকে গারোপাহাড়ের গভীর বনভূমিতে অবমুক্ত করা হয়।
মধুটিলা রেঞ্জ অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সকাল ১০টার দিকে গারো পাহাড় সংলগ্ন ধোবাকুড়া গ্রামের ধানক্ষেতে অদ্ভুত প্রাণীটি দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীরা সেটিকে ধরে ফেলে। পরে স্থানীয়রা খবর দিলে তিনি এসে প্রাণীটিকে মধুটিলা ইকোপার্কের উত্তরদিকে গারোপাহাড়ের গভীর বনভূমিতে অবমুক্ত করেন।
হগ ব্যাজারে মুখ মূলত বেশ লম্বা, মুখের সম্মুখভাগ গোলাকার। গায়ের রং ধুসর ও বাদামি। মুখের তুলনায় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও গায়ের রং কালো। সামনের দু’পায়ের আঙ্গুল বেশ লম্বা অনেকটা কুকুরের মতো। এ প্রাণীটি দৈর্ঘে ৬৩ সেন্টিমিটার এবং লেজ ১৫ সেন্টিমিটার।
শ্রবরদী উপজেলার ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশীল সাংমা জানান, কুকুরের মতো পা-ওয়ালা বালিখোদক শুকরের (হগ ব্যাজার) মাংস খুবই সুস্বাদু। প্রাণীটি এখন প্রায় বিলুপ্ত পথে বলে জানিয়েছে তিনি।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সভাপতি ড. মনিরুল খান জানান, ইউরেশিয়ান ওয়াইল্ড জগতের প্রাণী এই হগ ব্যাজার। হগ ব্যাজারকে শূকর বলা হলেও এটি আসলে শুকর প্রজাতির নয়।
পাহাড়ে মাটি খুঁড়ে গর্ত করে এই প্রাণীটি বসবাস করে। দিনের বেলায় সাধারণত এরা গর্তে ঘুমিয়ে কাটায়। রাতে খাদ্যের সন্ধানে বের হয়। এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে গাছের মূল-শিকর, কাণ্ড, কীটপতঙ্গ এবং ছোট প্রাণী। এ প্রজাতির প্রাণী প্রায় বিলুপ্তের পথে। শেরপুরসহ সিলেট ও পার্বত্য চট্টগামে কালেভদ্রে এদের দেখা মেলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।