জুমবাংলা ডেস্ক : বিশ্বের অন্যতম ভয়ংকর সাপ রাসেল ভাইপার। বাংলায় এটি ‘চন্দ্রবোড়া’ নামে পরিচিত। বাংলাদেশে এ সাপ বিলুপ্তপ্রায় হলেও, সাম্প্রতিক বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে এ সাপের কামড়ে মৃত্যু ও অসুস্থতার ঘটনা শোনা যাচ্ছে।
রাসেল ভাইপার ‘কিলিং মেশিং’ হিসেবে খ্যাত। কারণ এই সাপের কামড়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষের মৃত্যু ঘটে। সাধারণত সব সাপ মানুষকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে, কিন্তু এই সাপের স্বভাব ঠিক উল্টো। ফলে বিশ্বে প্রতি বছর যত মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়, তার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ কেবল এ সাপের কামড়েই মারা যায়।
বিষধর সাপ হিসেবে পৃথিবীতে রাসেল ভাইপারের অবস্থান পঞ্চম। কিন্তু হিংস্রতা আর আক্রমণের দিক থেকে এর অবস্থান প্রথম। আক্রমণের ক্ষেত্রে এই সাপ এত ক্ষিপ্র যে, ১ সেকেন্ডের ১৬ ভাগের ১ ভাগ সময়ের ভেতরে কামড়ের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে। এদের বিষদাঁত বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃহৎ। এরা প্রচণ্ড জোরে হিস হিস শব্দ করতে পারে। রাসেল ভাইপারের বিষে হোমটক্সিন রয়েছে, যে কারণে কামড় দিলে মানুষের মাংস পচে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সাপের বিষক্রিয়ায় শরীরে রক্ত জমাট বাঁধে। অনেকের কিডনিও বিকল হয়ে যায়। অত্যধিক রক্তক্ষরণে অনেক দীর্ঘ যন্ত্রণার পর রোগীর মৃত্যু হয়। এছাড়া দংশিত স্থানে পচন ধরে। অনেক সময় পচা অংশ কেটে ফেলার পরেও রোগীর জীবন বাঁচানো যায় না।
রাসেল ভাইপার ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়। এরা বছরের যে কোনো সময় প্রজনন করে। একটি স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে কোনো কোনো রাসেল ভাইপার ৭৫টি পর্যন্ত বাচ্চা দেওয়ার রেকর্ড আছে। এ সাপের শরীর মোটাসোটা, লেজ ছোট ও সরু। এই সাপ সাধারণত প্রায় ৪৮ ইঞ্চি লম্বা হয়। তবে ৭২ ইঞ্চি লম্বা রাসেল ভাইপারও দেখা গেছে। ভয়ঙ্কর বিষাক্ত, হিংস্র ও দুঃসাহসী এই সাপের কামড়ের ভিডিও তৈরি করেছে বিবিসি। ভিডিওটি দেখুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।