ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের শর্তে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে সৌদি

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদাসহ সার্বিক চুক্তিতে পৌঁছালে, ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে পারে সৌদি আরব। যদিও উচ্চাভিলাষী আলোচনা কারণ ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শিথিল হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। খবর রয়টার্সের।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান

মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্যানেল আলোচনায় তিনি একথা বলেন।

মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর রাজনৈতিক সমঝোতা বা চুক্তির অংশ হিসেবে সৌদি আরব ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে কি না? – এমন প্রশ্নের জবাবে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই’।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের মধ্যে দিয়ে আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছি, গাজার বিষয়ে এটি আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।’

প্রসঙ্গত, বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মরক্কোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে ইসরায়েলের। তবে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি নিশ্চিত করা ইসরায়েলের জন্য একটি বড় পুরস্কার হবে।

গত বছরের অক্টোবরে সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর এ পরিকল্পনা থেকে দূরে সরে আসে রিয়াদ।

দুটি সূত্রের বরাতে রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হতে আরও বিলম্ব হবে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

ইসরায়েলে হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে আনা হয়েছে এমন নিহত ফিলিস্তিনিদের মোট সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৩২০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

চিকিৎসক দম্পতির ফ্ল্যাটে গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু

এদিকে প্রায় তিন মাস ধরে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে, যা গত ৭৫ বছরে ফিলিস্তিনিদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।