জুমবাংলা ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি অপসারণ নিয়ে ‘গোপনে’ কিছু করা হবে না বলে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি অপসারণ নিয়ে কোনো তাড়াহুড়ো নেই। রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছানোর পরই রাষ্ট্রপতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। গোপনে কিছু হবে না।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রবিবার একথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন অপসারণ ইস্যুতে চলমান আলোচনার মধ্যে এই বক্তব্য এলো উপদেষ্টার।
সম্প্রতি এই ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ কয়েকটি সংগঠন বিক্ষোভ দেখিয়েছে। আবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকও করেছে তারা। তবে রাষ্ট্রপতিকে অপসরাণ করা হলে রাষ্ট্রীয় সংকট তৈরি হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বিএনপি।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যু নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখনকার রাষ্ট্রপতি ফ্যাসিস্ট সরকারের। বিপ্লব পরবর্তী এ সরকারের আদলের সঙ্গে যায় না।’
‘রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, রাষ্ট্রপতির অপসারণ রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করবে। আমাদের সরকারের বক্তব্য হলো, রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করব। এটা যত তাড়াতাড়ি হবে তত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত আসবে।’
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করছে। সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে, রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠন করা। তারপরে সিদ্ধান্ত। বিলম্ব হবে না আবার তাড়াহুড়ো করাও হবে না। রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে কোনো টাইম ফ্রেম নাই।’
‘বর্তমান রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে কেন উপদেষ্টা পরিষদ শপথ নিয়েছেন তা নিয়েও অনেকে কথা বলেন। মানুষ আবেগের জায়গা থেকে এমন বক্তব্য দেন। বাস্তবতার সঙ্গে সংগতি রেখেই উপদেষ্টা পরিষদের শপথ হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে এ উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের ব্যাপারে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়নি। তবে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধের জনদাবি থাকতেই পারে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।