লাইফস্টাইল ডেস্ক : বর্তমান ব্যস্ত জীবনে অনেকেই পর্যাপ্ত ঘুম পান না। গবেষণায় দেখা গেছে, কম ঘুম হলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
Table of Contents
চীনের ওয়েস্টলক ল্যাবরেটরি অফ লাইফ সায়েন্সস অ্যান্ড বায়োমেডিসিন পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের অভাব শরীরের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাকে দুর্বল করে।
গবেষণার ফলাফল
১১০০ জনের ওপর করা গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কম ঘুমান বা অনিয়মিত ঘুমান, তাদের রক্তে শর্করার মাত্রায় বেশি ওঠানামা হয়। গবেষণায় ঘুমের সময়কে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
- গুরুতর ঘুমের অভাব: প্রতি রাতে ৪-৪.৭ ঘণ্টা
- মাঝারি ঘুমের অভাব: প্রতি রাতে ৫.৫-৬ ঘণ্টা
- হালকা ঘুমের অভাব: প্রতি রাতে ৬.৮-৭.২ ঘণ্টা
- পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতি রাতে ৮-৮.৪ ঘণ্টা
যারা ৫.৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে ঘুমান, তাদের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যারা দেরিতে ঘুমান বা ঘুমের সময় পরিবর্তন করেন, তাদেরও রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি ওঠানামা করে।
ঘুমের অভাবে কী কী সমস্যা হতে পারে?
- রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি
- ওজন বৃদ্ধি ও বিপাকীয় সমস্যা
- মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বৃদ্ধি
- হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া
সুস্থ থাকতে কী করবেন?
১. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন: প্রতি রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান। ২. নিয়মিত ঘুমের সময় মেনে চলুন: প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান ও জাগুন। ৩. স্ক্রিন টাইম কমান: ঘুমানোর অন্তত ৩০ মিনিট আগে মোবাইল, টিভি বা কম্পিউটার ব্যবহার বন্ধ করুন। ৪. রাতে ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন: ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত মিষ্টি বা ক্যাফেইনযুক্ত খাবার খেলে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ৫. সকালের সূর্যালোক গ্রহণ করুন: প্রাকৃতিক আলো সার্কাডিয়ান রিদম নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যা ভালো ঘুম নিশ্চিত করে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়
- নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন
- সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন
- অতিরিক্ত চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন
- প্রচুর পানি পান করুন ও চিনিযুক্ত পানীয় কমান
- অ্যালকোহল গ্রহণ সীমিত করুন
- তাজা ফলের মাধ্যমে মিষ্টি গ্রহণ করুন
সুস্থ থাকতে হলে পর্যাপ্ত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। তাই আজ থেকেই স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং সুস্থ জীবনযাপন করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।