আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘বয়স গণনা পদ্ধতিতে’ পরিবর্তন এনেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই পরিবর্তনের ফলে দেশটির ৫ কোটি ১০ লাখ মানুষের বয়স রাতারাতি কমে গেছে ১-২ বছর। এতদিন, বয়স গণনার ক্ষেত্রে কোরিয়ানরা নিজস্ব পদ্ধতি ব্যবহার করতো। তবে এখন থেকে বিশ্বের সকল দেশের সঙ্গে মিলিয়ে বৈশ্বিক পদ্ধতি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
এতদিন দক্ষিণ কোরিয়ায় বয়স গণনার পদ্ধতি ছিল একটু ভিন্ন ধরণের, যা ‘কোরিয়ান বয়স’ গণনা পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত। এ পদ্ধতি অনুযায়ী দেশটিতে যখন একটি শিশু জন্মগ্রহণ করে তখন তার বয়স শূন্য থেকে গণনা না করে এক বছর বয়সী হিসেবে গণনা শুরু করা হয়। তারপর ইংরেজি নববর্ষে, অর্থাৎ জানুয়ারির ১ তারিখে তাদের বয়সের সাথে আরও এক বছর যোগ হতো। এর ফলে, ডিসেম্বরে জন্ম নেওয়া কোনো শিশু মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দুই বছর বয়সী বলে বিবেচিত হতো।
‘কোরিয়ান বয়স’ গণনা পদ্ধতি ছাড়াও দেশটিতে ‘ক্যালেন্ডার বয়স’ গণনা পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো। এ পদ্ধতি অনুযায়ী একটি শিশু জন্মগ্রহণের পর আন্তর্জাতিক নিয়মের মতোই তার বয়স শূন্য ধরা হয়। কিন্তু জানুয়ারির ১ তারিখ আসলে শিশুটির বয়স ‘কোরিয়ান বয়স’ পদ্ধতির আদলে ১ বছর ধরে নেওয়া হয়। ‘আন্তর্জাতিক বয়স’ গণনার সাথে ‘কোরিয়ান বয়স’ গণনা পদ্ধতির পার্থক্য থাকার কারণে এতদিন নানা সমস্যার তৈরি হতো।
এক ব্রিফিংয়ে দেশটির আইনমন্ত্রী লি ওয়ান কিউ জানান, বয়স গণনায় আন্তর্জাতিক পদ্ধতি গ্রহণের ফলে বিভিন্ন সামাজিক বিভ্রান্তি এবং বিরোধ কমে আসবে। একইসাথে এতদিন মিশ্র পদ্ধতি ব্যবহারের কারণে যে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হতো, তা অনেকাংশে কমে আসবে। দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন এ আইন প্রণয়নের সাথে আন্তর্জাতিক বয়স ছাড়াও সংশ্লিষ্ট আরও বেশ কয়েকটি বিষয় যুক্ত রয়েছে। যেমন: মাসভেদে বয়স গণনা না করে বরং একজন ব্যক্তি যেই সালে জন্ম নিয়েছেন সেটা অনুযায়ী তার বয়স গণনা করা হবে।
উল্লেখ্য, পুরো বিশ্বে বয়স নির্ণয়ের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, সেটিতে যখন একটি শিশু জন্ম নেয় সেই জন্মের দিন থেকে পরবর্তী বছরের এই একই দিন পূর্ণ হলে এক বছর হিসেব করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।