জুমবাংলা ডেস্ক : ১১ বছর আগের এক মাদক মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে এসে আদালতের কাছে ধরা পড়েছেন রতন নামের এক সাক্ষী। পরে তাকে সাত দিনের সেফ কাস্টডিতে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেম এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজুর রহমান পাটওয়ারী জানান, মামলাটি ২৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের। দীর্ঘদিন কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে না আসায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আদালতের বিচারকাজ শুরু হয়। কোর্ট শুরুর ২/৩ মিনিট আগে এ সাক্ষী আদালতে হাজির হন। তাকে সাক্ষ্য দেওয়ার বিষয়ে ব্রিফ করা হয়। সবকিছু স্বীকার করে।
তিনি বলেন, পরে এ সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে সাক্ষীর ডকে ওঠেন। পরে সাক্ষী দিতে গিয়ে বলেন ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। বিচারক তাকে জেরা করেন। আমিও তাকে প্রশ্ন করি। বললাম আমার কাছে সবকিছু স্বীকার করলেন, এখন বলছেন কিছু জানেন না। বিচারক তার কাছে জানতে চান, কি জানেন। তখন বলেন, কিছুই জানি না। তখন বিচারক জানতে চান, ঘটনার সময় কোথায় ছিলেন? বলেন, পুলিশের গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন। কোন কোন জায়গায় ড্রাইভ করে জানতে চাইলে বলেন, কিছু জানি না। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের কাছে এবং আমাদের কাছে অনুমান হলো, সে সত্য গোপন করে সাক্ষ্য দিয়েছে আসামির কাছ থেকে বায়াস্ট হয়ে। পরে বিচারক বলেন, সেফ কাস্টডিতে থাকুক, ভালোভাবে জেনে আসুক। তাকে সাত দিনের জন্য সেফ কাস্টডিতে পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৫ জুন তার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৮ জুন রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে মিরপুর মডেল থানাধীন সনি সিনেমা হলের সামনে থেকে রতন, খোকন শেখও উপস্থিত লোকজনের সামনে ইমরান হোসেনের দেহ তল্লাশী করে তার হাতে থাকা প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে ওইদিনই মামলা করেন মিরপুর মডেল থানার এএসআই রাজ কুমার। মামলাটিতে তদন্ত করে একই বছরের ১৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মুনিরুজ্জামান। ১৫ সেপ্টেম্বর ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এখন পর্যন্ত মামলাটিতে ১০ জন সাক্ষীর মধ্যে তিন জন সাক্ষ্য দিয়েছে। ৪র্থ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে আসেন রতন। তিনি অভিযোগপত্রের দুই নম্বর সাক্ষী। রতনের বাড়ি বরগুনার তালতলী থানার ছোট ভাই জোড়া গ্রামে।
এ দিকে রতনকে সেফ কাস্টডিতে পাঠানোর কথা শুনে আদালতে ছুটে আসেন তার ছেলে ও দুলাভাই।
এ বিষয়ে রতনের দুলাভাই হারুন বলেন, আদালত থেকে এক পুলিশ সদস্য রতনের মাকে ফোন দিয়ে একথা জানায়। আমার শ্বাশুড়ি আমাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায়। মিরপুর থেকে ছুটে এসেছি। কী কারণে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে আমরা কিছুই জানি না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।