স্পোর্টস ডেস্ক : আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফে শীর্ষ দুইয়ে থাকার সুযোগ ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সামনে। লক্ষ্ণৌয়ে শুক্রবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে সে স্ক্রিপ্ট মেনেই এগোচ্ছিল। ২৩২ রান তাড়া করতে নেমে ১৫ ওভার শেষেও ম্যাচে ছিল দারুণভাবে। কিন্তু এরপর ১৬ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে বসে দলটা। ৪২ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেই বসে। এই হারের ফলে বেঙ্গালুরুর শীর্ষ দুইয়ে থাকার সম্ভাবনায় বড় ধাক্কা খেল।
এই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় একেবারে শেষ দিকে। ম্যাচে তখন দুই দলেরই সুযোগ ছিল সমানভাবে। তবে বেঙ্গালুরুর হাতে ছিল মোমেন্টামটা। শেষ পাঁচ ওভারে দলটার সামনে ছিল ৩০ বলে ৬৫ রানের লক্ষ্য। মোমেন্টামটা নিজেদের পক্ষে থাকার ফলে বেঙ্গালুরুই ছিল ফেভারিট।
কিন্তু তখনই এলো ঈশান মালিঙ্গার ওভার। প্রথমে রানআউট, তারপর টানা দুই উইকেট তুলে নিয়ে পুরো চিত্রটাই বদলে দেন তিনি। সে এক ওভারই বেঙ্গালুরুর হারের বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।
এর আগে হায়দরাবাদ ব্যাটিংয়ে শুরু থেকেই চড়াও হয়। পাওয়ারপ্লেতে অভিষেক শর্মা মারমুখী ছিলেন। চার ও ছক্কার ঝড় তুলে মাত্র চার ওভারেই ৫৪ রান তুলে ফেলেন তারা। এরপর হাল ধরেন ঈশান কিষাণ ও হাইনরিখ ক্লাসেন। মাঝে মাঝে উইকেট হারালেও রানের গতি কমেনি। ৯ বলে ২৬ রান করেন অনিকেত ভার্মা।
ঈশান কিষাণ অবশ্য ছিলেন অনবদ্য। ৫০ ছুঁয়ে যান দ্রুত এবং একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে নিয়ে যান বিশাল সংগ্রহের দিকে। শেষ ওভারে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। সানরাইজার্স শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে তোলে ২৩১ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ারপ্লেতে ভালই শুরু করে বেঙ্গালুরু। বিরাট কোহলি একাই চালিয়ে নিচ্ছিলেন ইনিংস। ছয় ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে তারা তোলে ৭২ রান। এরপর মিডল ওভারে জ্বলে ওঠেন ফিল সল্ট। ২৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। এই পর্যায়ে বেঙ্গালুরু এগিয়েই ছিল।
কিন্তু হঠাৎ করেই সব বদলে যায়। কোহলি, সল্ট, মায়াঙ্ক একে একে ফিরে যান। এরপর জিতেশ শর্মা কিছুটা লড়াই করলেও ইনিংসটা বড় করতে পারেননি।
তারপর এল সেই ওভার। ঈশান মালিঙ্গা প্রথমে রজত পতিদারকে দারুণ ডিরেক্ট থ্রোতে রান আউট করেন। পরের বলে রোমারিও শেফার্ডকে ফিরিয়ে দেন নিজের হাতে ক্যাচ নিয়ে। এরপর জিতেশ ফিরে যান বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ দিয়ে।
শেষ চেষ্টা হিসেবে মাঠে নামেন ইনজুরিতে থাকা টিম ডেভিড। কিন্তু হাঁটতে পারছিলেন না ঠিকভাবে। শুধু বড় শট খেলতেই পারতেন। মালিঙ্গা সেই দুর্বলতাকে কাজে লাগান। তিনটি ডট বল দিয়ে প্রেশার বাড়ান এবং চতুর্থ বলে ডেভিডকেও ফেরান।
সেখানেই সব শেষ হয়ে যায় বেঙ্গালুরুর জন্য। তারা অলআউট হয়ে যায় ১৯.৫ ওভারে ১৮৯ রানে।
এ জয়ের পর সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তাদের শেষ ম্যাচে দিল্লি সফরে যাবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে খেলতে। আর বেঙ্গালুরু ২৭ মে খেলবে তাদের শেষ লিগ ম্যাচ লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে। সেই ম্যাচের আগে তারা জানতে পারবে, শীর্ষ দুইয়ে থাকার কোনও সুযোগ আছে কি না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।