জুমবাংলা ডেস্ক : তীব্র গরমে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে দেশের রেললাইন। লাইন বেঁকে ঘটছে দুর্ঘটনা। এক সপ্তাহে দুইবার এমন ঘটনায় বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক প্রযুক্তির অনুপস্থিতি, মেয়াদোত্তীর্ণ রেললাইন আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এমন দুরবস্থা। আর নেটওয়ার্ক ঝুঁকির কথা স্বীকার করে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্পর্শকাতর অঞ্চল চিহ্নিত করে নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। সম্প্রতি সময় সংবাদের বিশ্লেষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দুবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একই স্থনে বেঁকে যায় রেললাইন। এতে দীর্ঘ সময় ব্যাহত হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ।
রেলকর্মীরা জানান, শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া নয় ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রুটের পুরো পথই রয়েছে শঙ্কায়। ঢাকার আশপাশেই প্রতিদিনই বেঁকে যাচ্ছে রেললাইন। আর লাইন ঠান্ডা রাখতে পানি ঢালা ছাড়াও দেয়া হচ্ছে কচুরিপানা।
এক রেল কর্মী জানান, তাপমাত্রা বেশি হলে লাইন বেঁকে যায়। মনে হয় সময় চলে গেছে। তখন রেললাইনে পানি ঢেলে ঠান্ডা করে সোজা করা হয়।
আর ট্রেনচালকরা বলেন, প্রতিনিয়ত শঙ্কা নিয়েই চলতে হচ্ছে তাদের। তাই কিছু স্থান চিহ্নিত করে ২০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে।
এক ট্রেন চালক বলেন, তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গতির পরিমাণ কমিয়ে দেয়া আছে। আমরা সেভাবেই গাড়ি চালাচ্ছি।
বুয়েটের যোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক ও বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান বলেন, মূলত দেশের ৬০ শতাংশ রেললাইনই মেয়াদোত্তীর্ণ। ফলে পরিবর্তিত আবহাওয়ায় বেঁকে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে অধিকাংশ রুটই। আধুনিক প্রযুক্তির অনুপস্থিতি, মেয়াদোত্তীর্ণ রেললাইন আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এমন দুরবস্থা।
তিনি বলেন, আমাদের পুরো রেল নেটওয়ার্কের বড় একটা অংশ চরম ঝুঁকিতে আছে এ বেঁকে যাওয়ার। কারণ যে রেল নেটওয়ার্কের ডিজাইন লাইফ সেটা কিন্তু পার হয়ে গেছে।
বাস্তবতা স্বীকার করে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস রেল কর্তৃপক্ষের।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান বলেন, মনিটরিংটা বেশি করে করতে হবে। আমাদের যেখানে রেললাইন দুর্বল আছে, সেগুলো মেরামতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থার চিন্তা আছে।
রেলের তথ্য বলছে, বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পূর্বাঞ্চলের মিটারগেজ রেললাইন।
প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার আহ্বানে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বিএনপি-জামায়াত সমর্থকরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।