লাইফস্টাইল ডেস্ক : দুগ্ধজাত খাবারগুলোর মধ্যে ঘি অনেক পুষ্টিকর প্রাকৃতিক উপাদানসমৃদ্ধ একটি খাবার। রান্নায় স্বাদ বাড়াতে ঘিয়ের জুড়ি নেই। অনেকে আবার গরম ভাতে এক চামচ ঘি খেতে পছন্দ করেন। এটি সহজে হজমযোগ্য চর্বি যা শরীরের তাপ উপাদানের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
ভাতের সাথে বা রান্নায় ঘি খেলেও কখনও খালি পেটে ঘি খাওয়ার কথা ভেবেছেন? অনেকের হয়তো জানা নেই, সকালে খালি পেটে এক চামচ ঘি খেলে মিলবে নানা উপকারিতা।
ঘি ওমেগা ৩ এর একটি দারুণ উৎস। এছাড়া এটি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ, ই, ডি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। তাই নিয়মিত ১ চা চামচ ঘি খাওয়ার অভ্যাস আপনার শরীরের সমস্ত কোষের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
প্রতিদিন এক চামচ ঘি খেলে হৃৎপিণ্ড থেকে ত্বক সব সুস্থ ও সুন্দর থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘিয়ের উপকারিতা পেতে গেলে এটি সকালে খালি পেটেই খাওয়া উচিত।
চলুন জানা যাক, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ ঘি খেলে শরীরের কী কী উপকার হয়।
ওজন কমায়
ঘিতে রয়েছে কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড, যা এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড শরীরের চর্বি কমাতে এবং ওজন বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। এই উপাদান হিমায়িত চর্বি গলতে এবং চর্বি কোষের আকার কমাতে সাহায্য করে। যদি আপনার শরীরে চর্বি দ্রুত জমতে শুরু করে, তাহলে ঘি সহায়ক হতে পারে।
হজমশক্তি উন্নত করে
ঘি হজমের উন্নতির পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ঘি খাওয়া আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা থেকে দূরে রাখে। এছাড়াও, ঘি দিয়ে যে কোনও খাবার খেলে, এতে উপস্থিত পুষ্টির শোষণ বাড়ে, ফলে শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি পায়।
হার্টের সমস্যা
রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে হার্ট অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনে দ্বারা প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুসারে, ঘি রক্তের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া ঘিয়ের মধ্যে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
ক্ষুধা কমায়
ঘি খেলে ক্ষুধা কমে যায় এবং অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। এটি বারবার ক্ষুধা পাওয়া থেকে বাধা দেয়, ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হয় না। এছাড়াও, ঘি খেলে শরীর দীর্ঘ সময় সতেজ থাকে।
শক্তির যোগান দেয়
কার্বোহাইড্রেট শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে বা কমাতে পারে। কিন্তু ঘি এমন একটি চর্বি যা, শরীরে শক্তি জোগায়। এই শক্তি ক্ষুধা কমায় এবং চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও কমায়। পাশাপাশি দীর্ঘ সময় শরীরে শক্তির যোগান দেয়।
রোগের ঝুঁকি কমায়
সকালবেলা খালি পেটে ঘি খেলে, এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডনেট দেহের অক্সিডেটিভ চাপ কমায় এবং ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখে। শুধু তাই নয়, এভাবে ঘি খেলে শারীরিক প্রদাহ এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।