লাইফস্টাইল ডেস্ক : কাঁকড়া খাবার কথা আমাদের দেশে ৩০ বছর আগে চিন্তাও করা হত না! কাল ক্রমে মানুষ জানতে শুরু করলো, বিদেশের মানুষের কাঁকড়া খাবারের কথা জানলো এবং খাবার শুরু করলো। এদিকে যারা বছরে একবার হলেও কক্সবাজারে যেতেন, তারা সেখানে কাঁকড়া ফ্রাই খেয়ে আসতেন, এভাবে আমি বিদেশে সরাসরি দেখলেও কখনো খেয়ে দেখি নাই, তবে একবার কক্সবাজারে গিয়ে এক সন্ধ্যায় ইচ্ছা করে খেয়ে দেখতে চাইছিলাম এবং সামান্য মুখে নিয়ে বুঝেছিলাম, মানুষ কাঁকড়া খায়! হ্যাঁ, স্বাদ আছে ভালো, অনেকটা চিংড়ির মত, সফট এবং কিছুটা হাল্কা সুমিষ্ট স্বাদের কাঁকড়া রোয়া! ধর্ম মতে কাঁকড়া খাওয়া যায় কি না এই নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে, তবে আমি অনেক দেশের মুসলিমদের খেতে দেখেছি এবং না খাওয়াই ভাল বলে মনে হয় আমার কাছে। যাই হোক, এদিকে দিন যেতে থাকে নানান দেশের ব্লগ দেখে দেখে বুঝতে পারি, এর স্বাদ একবার নেয়া উচিত এবং নিজেদের বাসায় একবার রান্না করা দরকার, তবে কেনার কোন জায়গা পাচ্ছিলাম না! কিছুদিন আগে বাসায় গেলে প্রিয়তমা স্ত্রী জানালেন, দিনিদের বাসা থেকে (আমাদের এক সময়ের প্রতিবেশী) কিছু জ্যান্ত কাঁকড়া দেয়া হয়েছে! ফলে প্রিয়তমা স্ত্রীকে বললাম, চলো রান্না করি, আমি সহযোগী হিসাবে ছিলাম। তিনি নেট দেখে আগেই ইনরমেশন নিয়ে রেডি ছিলেন! চলুন আমাদের সেই রান্না দেখি। প্রথম ধাপে কাঁকড়া পরিস্কার, পরের ধাপে ফ্রাই এবং শেষে মশলা দিয়ে রান্না।
কাঁকড়া পরিস্কারঃ
জ্যান্ত কাঁকড়া এভাবে বেঁধে বিক্রি করা হয়।
কাঁকড়া পরিস্কার করা ঝামেলা, ব্রাস দিয়ে ঘষে পরিস্কার করতে হয়।
আমরা কাঁকড়ার পঠের খোল নেই নাই, পায়ের সাইডের অংশ এভাবে নিয়ে ভাল করে পরিস্কার করা হয়েছিল।
ফ্রাইঃ
এভাবে মরিচ গুড়া, হলুদ গুড়া ও লবন নেয়া হল।
মাখিয়ে কিছু সময়ের জন্য রেখে দেয়া হল।
ফ্রাই হবে যেহেতু এভাবে সামান্য ময়দার গুড়োতে মাখিয়ে ফ্রাই ক্রা যেতে পারে। স্বাদ বাড়ে।
এবার গরম তেলে ভেঁজে নিন। চুলার ধার ছেড়ে যাবেন না, আমরা তেল বাচানোর জন্য কম তেলেই একটু সময় নিয়ে করেছি।
ভাঁজা শেষ, এভাবেই অনেকে খেয়ে থাকেন এবং মন্দ না, ভালই লাগে।
রান্নাঃ
রান্নার জন্য এভাবে মশলা নিন।
মশলার সাথে সামান্য মরিচ গুড়া ও হলুদ গুড়া, লবন নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে মিশিয়ে নিন।
এবার সেই ভাঁজা করে রাখার তেলে মশলা দিয়ে ভাল করে নাড়িয়ে ঝোল বানিয়ে ফেলুন।
এবার ভেঁজে রাখা কাঁকড়া গুলো দিয়ে নাড়িয়ে নিন।
এমন একটা অবস্থায় এসে যাবে।
বাটিতে তুলেই পরিবেশনা!
খাবারের টেবিলে, এবার যেয়াবে ইচ্ছা খেয়ে নিন।
সবাইকে শুভেচ্ছা, আপনাদের দিন কাটুক আনন্দে ও ভালবাসায়।
রান্না কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।