জুমবাংলা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ‘আমেরিকান বার অ্যাসোসিয়েশন সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’ বাংলাদেশের ত্রুটিপূর্ণ সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) বাতিল কিংবা সংস্কার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে সিএসএ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে (আইসিটি অ্যাক্ট) করা মামলাগুলোও প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।
সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল বা সংশোধন করার বিষয়টি। এতে বলা হয়েছে, এই আইন বাতিলের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। বিকল্প হিসেবে আইনটির বিশেষ করে ২১, ২৫, ২৮, ২৯ ও ৩১ ধারায় মৌলিক সংশোধন আনতে পারে।
সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, যথোপযুক্ত হলে মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সাইবার নিরাপত্তা আইন এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা অবশিষ্ট মামলাগুলো খারিজ করতে পারে সরকার। এর বাইরে, সরকার সাইবার অপরাধ দমন আইন–সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের আগ পর্যন্ত এসব আইনে বিশেষ করে মানবাধিকারকর্মী ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা না করতে পারে।
সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার ‘বাংলাদেশ: ফ্লড সাইবারক্রাইম রিজিম রিকোয়ারস রিপিল অর রিফর্ম, সেপ্টেম্বর ২০২৪’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এসব আইনের বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাক্স্বাধীনতা চর্চার জন্য মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ বহু মানুষকে সাইবার নিরাপত্তা আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেই ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত আনুমানিক ১ হাজার ৪৩৬টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ৫ হাজার ২৮৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন কার্যকর হওয়ার পর এ আইনে অন্তত ৬২টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৩৭২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। বর্তমান সাইবার নিরাপত্তা আইন বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে এ আইনের ব্যবহার বাংলাদেশে মৌলিক মানবাধিকার চর্চার ক্ষেত্রে বড় ঝুঁকি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।