জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, খাল, বিল, পুকুর, নদী, প্লাবনভূমি, খাঁচায় চাষ করা মৎস্যসম্পদ চাঁদপুর জেলাকে সমৃদ্ধ করেছে। এর মধ্যে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে জেলায় মাছের চাহিদা ছিল ৬৮ হাজার ৪৬৬ মেট্রিক টন। উৎপাদন হয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ৯০.৬২ মেট্রিক টন এবং উদ্বৃত্ত ছিল ৪৭ হাজার ৬২৪.৬২ মেট্রিক টন। একই অর্থবছরে শুধু ইলিশ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ হাজার ৩২৬ মেট্রিক টন।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মৎস্যসম্পদ সুরক্ষা ও সমৃদ্ধি অর্জনে মৎস্য অধিদফতর কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমের বিষয়ে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সভায় আরও বলেন, ‘বিশ্বের ১১টি দেশের মধ্যে ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রথম এবং মোট ইলিশ উৎপাদনের ৮৬ ভাগ বাংলাদেশে উৎপাদন হয়। চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশের প্রতি সবার দৃষ্টি থাকে। সম্প্রতি অনলাইনে ইলিশ বিক্রিতে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে অনেকে ফেসবুকে পেজ খুলে এই সুযোগ নিচ্ছেন। জেলার সুনাম রক্ষার জন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নদীতে শুধু ইলিশই নয়, সব ধরনের মাছের উৎপাদন হয়। খামারিরাও বহু ধরনের মাছ উৎপাদন করেন। তবে এই জেলার মানুষ নদীর মাছ খেতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেন। আর নানা কারণে নদীতে মাছের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এসব বিষয়ে মৎস্য বিভাগের পাশাপাশি মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কাজ করছে।’
এ সময় মৎস্য কর্মকর্তা জানান, জেলায় নিবন্ধিত মৎস্যজীবীর (জেলে) সংখ্যা ৪৭ হাজার ২৪৯ জন। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ইলিশসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্পনা প্রকল্পের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর ও বৈধ জাল বিতরণ করা হচ্ছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মেঘনা নদী উপকূলীয় মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর ও হাইমচর উপজেলায় ৫শ’ জেলেকে বকনা বাছুর, গ্রুপ করে ২৭৬ জন জেলেকে ৯২টি বৈধ সুতার জাল এবং ৩৫০ জন সুফলভোগী জেলেকে তিন দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
মৎস্য সম্পদ সুরক্ষা ও সমৃদ্ধ অর্জনের বিষয়ে মতামত রেখে বক্তব্য দেন– চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন, সাংবাদিক আলম পলাশ, ফারুক আহমেদ লিটন, মুহাম্মদ মাসুদ আলম।
এ ছাড়াও বক্তব্য দেন– জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক তছলিম বেপারী, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মালেক দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক মো. মানিক দেওয়ান, মৎস্য খামারি মো. বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।
সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ প্রকল্প) এসএম মুশফিকুর রহমানসহ মৎস্য চাষি, হ্যাচারি মালিক ও মৎস্যজীবী নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।