আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন ডলারের তুলনায় ভারতের রুপি ও জাপানের ইয়েনের মূল্যের দরপতন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মুদ্রাস্ফীতি কমাতে কড়া ব্যবস্থা নেয়ার পর রুপি, ইয়েনের দাম কমেছে। খবর এএফপি।
সোমবার (১৩ জুন) এক ডলারের বিপরীতে ১৩৫ দশমিক ১৯ ইয়েন পাওয়া যাচ্ছিল। আর ডলারপিছু রুপির দাম ছিল ৭৮ দশমিক ২৮২৫। ইয়েন ও রুপির দাম এভাবে কিছুদিন ধরে হুড়মুড় করে পড়ে যাওয়ার কারণ হলো রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত। এর ফলে বিশ্বজুড়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে, প্রতিটি দেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়েছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যুক্তরাষ্ট্র কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। সবমিলিয়ে ইয়েন ও রুপির দাম রেকর্ড কমেছে।
গত কয়েকমাস ধরে বেশ কিছু দেশের মুদ্রার দাম কমেছে। কারণ, রাশিয়ার ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রবল আকার ধারণ করেছে। মুদ্রাস্ফীতি কম করার জন্য বেশকিছু কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। তার প্রভাব পড়ছে অন্য দেশের মুদ্রার ওপর।
তবে ব্যাংক অফ জাপান তাদের চিরাচরিত রীতি মেনে মনিটরি ইসিং প্রোগ্রামের ওপরই ভরসা রেখেছে। তারা মনে করছে, এর ফলে আর্থিক বৃদ্ধির হার ধরে রাখা সম্ভব হবে। জাপানের অর্থনীতিবিদ তাকাহিদে কিনৌছি বলেছেন, ইয়েনের দাম কমে যাওয়ায় জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সুদের হারে ফারাক পড়বে।
ভারতের ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাংক ইতোমধ্যে রুপির দাম ৫০ বেসিক পয়েন্ট বাড়িয়েছে। এর ফলে সুদের হার বাড়বে। কিন্তু ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বেশি অর্থ দিতে হবে। রিজার্ভ ব্যাংক বিদেশি মুদ্রা বিক্রি করেও রুপির দাম স্থিতাবস্থায় আনার চেষ্টা করেছে।
বিদেশি মুদ্রার ব্যবসায়ীরা বলছেন, এশিয়ার দেশগুলির মুদ্রা দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। আন্তঃব্যাংক বিদেশি এক্সচেঞ্জে এদিন ডলারের দাম প্রথমে ছিল ৭৮.২০ টাকা। তার পর আরও দাম পড়ে তা গিয়ে দাঁড়ায় ৭৮.২৯ টাকা, যা রেকর্ড পতনের সমান। গতবারের থেকে ৩৬ পয়সা পড়েছে দাম।
এদিকে ভারতে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এপ্রিলে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল সাত দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সরকার চিনি রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। পেট্রল-ডিজেলের দাম অনেকখানি বাড়িয়ে তারপর আবার কিছুটা কমানো হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউরো, সুইস ফ্রাঁ ও পাউন্ডের দামও কমেছে। এক ইউরো মানে এখন এক দশমিক শূন্য পাঁচ ডলার। এক পাউন্ডে পাওয়া যাবে এক দশমিক ২২ ডলার। সোমবার (১৩ জুন) এশিয়ার অধিকাংশ স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ারের দাম কমেছে। হংকং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া সর্বত্র একই অবস্থা।
এদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ১.৪৬ শতাংশ কমেছে। এখন ব্যারেলপ্রতি ক্রুড ওয়েল ১২০.২৩ মার্কিন ডলার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।