জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীসহ সারা দেশের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা নগরবাসীর। আজ ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দফতরের তথ্যমতে ৩৪ বছর পর মে মাসে এই তাপমাত্রা রেকর্ড হলো। কাল ঢাকার তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।
এ ছাড়া দেশের তিন জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, এমন তাপপ্রবাহ থাকবে আরও তিন দিন। হালকা বাতাস থাকলেও রাজধানীর তাপমাত্রা ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া রাজশাহী চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকার কথা। তবে চলতি মাসের শুরু থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে থাক। আজ ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ১৯৮৯ সালের ৮ মে এই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।
শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও গত ৯ বছর আগের রেকর্ড ছুঁয়েছে। আজ চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে যশোরে ওই একই তাপমাত্রা উঠেছিল।
আর স্বাধীনতার পর মে মাসে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ১৯৯৫ সালের ২৮ মে যশোরে, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া বিদ ওমর ফারুক বলেন, সারা দেশের ওপর দিয়েই তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামীকাল তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। আর তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টির দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ক্রমে শক্তি সঞ্চয় করে আগামী কয়েক দিনে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। সেটি যদি বাংলাদেশ বা আশপাশের অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যায়, তার প্রভাবে দেশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে ১৩ বা ১৪ এপ্রিলে দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কেন এত গরম
এদিকে তীব্র গরমে দিনের বেলায় ঘর থেকে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে। কাজের তাগিদে তবু যারা বের হচ্ছেন, সূর্যের খরতাপ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার করছেন। অনেকে ডাব, জুস ও পানি পানের মাধ্যমে তৃষ্ণা মেটানোর চেষ্টা করছেন।
প্রশ্ন উঠেছে তাপমাত্রা কেন এত বাড়ছে। জবাবে আবহাওয়া দফতর বলছে বাংলাদেশের এপ্রিল ও মে এই দুই মাস সবচেয়ে উষ্ণ মাস। এ ধারাবাহিকতায় এপ্রিলে পুরো দেশের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রারও রেকর্ড হয়। মে মাসেও এই অবস্থা দেখা যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এই দুই মাসে বৃষ্টি তুলনামূলক কম হয়। যে কারণে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। এছাড়া বঙ্গপোসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির কারণে ভূপৃষ্ঠের হাওয়া সাগরের দিকে ছুটছে। এ কারণেও গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।