আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নানা ইস্যুতে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে চলছে তীব্র কূটনৈতিক টানাপোড়েন। এর মধ্যেই মালদ্বীপকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন ভারতীয়রা। তাদের এই ডাকে মালদ্বীপে পর্যটক কমছে কিনা, সেটিও এক বড় প্রশ্ন। তবে সাম্প্রতিক কিছু পরিসংখ্যান দিচ্ছে ভিন্ন তথ্য।
সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে’র সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক মালদ্বীপ ভ্রমণ করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক হাজারেরও বেশি রিসোর্ট থাকা মালদ্বীপে ২০২৩ সালে পর্যটকদের আগমন বেড়েছে ১২ শতাংশ। যার মোট সংখ্যা প্রায় ১৯ লাখ। ২০২২ সালে দ্বীপরাষ্ট্রটি ভ্রমণ করেন ১৬ লাখের বেশি পর্যটক। দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছর মালদ্বীপে পর্যটক সবচেয়ে বেশি এসেছে ভারত, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি থেকে।
মালদ্বীপের মার্কেটিং অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স করপোরেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জন্য ১৮ লাখ পর্যটক আনার লক্ষ্য ছিল উষ্ণ আবহাওয়ার এ দেশটির। এবং ডিসেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যেই সেই লক্ষ্য পূরণ হয়ে যায়।
চলতি বছর আরও বেশি পর্যটক সমাগমের লক্ষ্য নিয়েছে মালদ্বীপ। জানা গেছে, জানুয়ারিতেই পর্যটক আগমনের সংখ্যা ইতোমধ্যে গত দুই বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ইউএসএ টুডে বলছে, জানুয়ারির প্রথম তিন দিনেই ১৭ হাজার ৪১১ জন পর্যটক প্রবেশ করেছেন দেশটিতে। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৩৪৬ এবং ২০২২ সালে ছিল ১৫ হাজার ৬১৮ জন।
এদিকে মালদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন বছরের শুরুতেই দেশটিতে পর্যটকের আগমন ছাড়িয়েছে প্রায় এক লাখ, যা গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত মালদ্বীপের হোটেলগুলোর বুকিং সম্পূর্ণ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া মালদ্বীপের পর্যটন খাত নিয়ে ভারতীয় বিভিন্ন মিডিয়ায় ‘নেতিবাচক’ প্রচারকে ‘মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে দ্বীপ দেশটির কর্তৃপক্ষ।
মালদ্বীপে ভারতীয় পর্যটকদের সংখ্যা কমলেও, গেল কয়েকদিনে নতুন করে যুক্তরাজ্য, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা আসছেন দেশটিতে। এছাড়া বর্তমানে মালদ্বীপে পর্যটক আগমনের শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া ও ইতালি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি লাক্ষ্মাদ্বীপ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপহাস করে মালদ্বীপের তিন মন্ত্রীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টের জেরে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয় দুই দেশের সম্পর্কে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।