জুমবাংলা ডেস্ক : প্রচলিত আছে ’মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে বাঘও পালায়’। এ প্রবচনটি অনেকটা বাস্তবেও প্রকাশ পেয়েছে এবার। মাঘের শুরু থেকে শীতের দাপট দেখছেন দেশের মানুষ। শীতের তীব্রতা যেন বেড়েই চলেছে। ঘন কুয়াশায় অনেক এলাকায় দেখা মিলছে না সূর্যেরও। বেশ কয়েক জেলায় কদিন ধরেই চলছে শৈত্যপ্রবাহ। হাঁড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বেড়েছে শীতজনিত রোগও।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, মূলত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি গিয়ে শীতের তীব্রতা কমবে। তবে এবার শীত আরও কিছুদিন স্থায়ী হতে পারে। এ সময় কোনো না কোনো জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে।
বছরের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয় জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে, যা শুরুতে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কয়েকটি জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শৈত্যপ্রবাহ অন্য জেলায়ও ছড়িয়ে পড়ে। তবে শীতের প্রকোপ সারা দেশেই টের পাওয়া যাচ্ছে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড হয়েছে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে। এদিন এ দুই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় অতীতের যত রেকর্ড
সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শীত পড়েছে ২০১৮ সালে। ওই বছরের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। একই দিন সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া নীলফামারীর ডিমলায় ৩ ডিগ্রি, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রি এবং দিনাজপুরে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।
২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি এবং ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়।
এরও আগে, ১৯৯৬ সালে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল।
এর বাইরে, ২০১৯ সালে তেঁতুলিয়ায় ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি যশোরে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং ২০১৭ সালে কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয় ।
ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার যত রেকর্ড
একই দিন ঢাকায় বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এটিই সাম্প্রতিককালে ঢাকার রেকর্ড সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নয়।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২০১৩ সালে। ওই বছর রাজধানীর তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এরপর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি। তখন তাপমাত্রা নেমেছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ২০২৩ সালে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।