জাফর আহমেদ : বর্ষার স্নিগ্ধতার রেশ এখনো রযেছে প্রকৃতিতে- খালে-বিলের থৈ থৈ জলের ফুটে থাকা শাপলা ফুলে। শরতের সকালে শুভ্র নীল আকাশে সবেমাত্র উঁকি দিচ্ছে কুসুম সূর্য। সেই সূর্য শাপলার সবুজ পাতা আর লাল পাপড়িতে জমে থাকা শিশিরে ধরা দিয়েছে চিকিমিকি মুক্তা হয়ে। সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে টাঙ্গাইলের বাসাইল বিলের ধারে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
পৌর শহরের কলেজপাড়া এলাকার এই বিল খ্যাতি পাচ্ছে লাল শাপলার বিল নামে। রোদের তাপে নুইয়ে পড়ে বলে ভোরের সূর্য উঠার আগেই লাল শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন নানা প্রান্তের প্রকৃতিপ্রেমীরা। বাড়তি আকর্ষণ বিলের পাড়ে বিচ্ছিন্নভাবে ডানা মেলে থাকা কাশফুল। ফুটে থাকা কাশফুল জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষা শেষে শরতের আগমন।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রতিদিন ভোরে দূরদূরান্ত থেকে শত শত প্রকৃতিপ্রেমীরা ফুটে থাকা লাল শাপলার সৌন্দর্য দেখতে ছুটে আসছেন বাসাইল পৌর শহরের কলেজপাড়া এলাকার এই বিলে। কেবল সৌন্দর্য উপভোগই নয় এই লাল শাপলা হয়ে উঠেছে প্রান্তিক মানুষের জীবিকার উৎসও। এখান থেকে প্রতিদিন আহরণ করা হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার শালুক। তবে বিলে নৌকা না থাকায় নানা ভোগান্তি পোহাতে হয় দর্শনার্থীদের।
দর্শনার্থী রেখা আক্তার বলেন, আমি দেলদুয়ার থেকে এখানে লাল শাপলা দেখতে এসেছি। দেখে অনেক ভালো লাগলো। তবে বিলে নৌকা না থাকায় আমাদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। কাঁদা মাটি মাড়িয়ে বিলে যেতে হয়।
শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, আমি এখানে প্রথম এসেছি। বিলের শাপলা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। বিলের মাঝখানে যাতায়াতের ব্যবস্থা ভালো হলে আরও দর্শনার্থী আসবে।
ঘুরতে আসা শিমু আক্তার বলেন, আগে এখানে মানুষ আসতো না। এখন লাল শাপলা দেখে অনেক মানুষ দূর-দূরান্ত আসছে। বিনোদনের একটা জায়গা হয়েছে। সবাই তাদের ইচ্ছামতো ছবি তুলছে।
কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ফাহিমা খাতুন বলেন, এত লাল শাপলা আমি কখনো দেখি নাই। আমি বান্ধবীদের সঙ্গে এসেছি। হাজার হাজার লাল শাপলা ফুল ফুটেছে। প্রকৃতি যেন অন্যরকম সাজে সেজেছে। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে।
ঘুরতে আসা সাব্বির হোসেন বলেন, বউকে সাথে নিয়ে লাল শাপলা দেখতে এসেছি। অনেক দিন ধরে ইচ্ছা ছিল লাল শাপলার সাথে ছবি তুলব, আজ ইচ্ছাটাকে পূর্ণতা দিলাম। ভোরবেলায় লাল শাপলাগুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে, দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। লাল শাপলার রাজত্ব মনকে প্রফুল্ল করে তুলেছে। সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।