জুমবাংলা ডেস্ক : স্পেনের ষাঁড়ের লড়াই। পৃথিবীর অন্যতম নৃশংস খেলা। খেলা হয় একপেশে। বড় ষাঁড়গুলোই মারা পড়ে। ম্যাটাডোর, মানে যারা ষাঁড়ের সঙ্গে লড়াই করেন, তারাও মাঝে মাঝে মারাত্মক জখম হন। কখনো কখনো নিহতও হন। কিন্তু এ সংখ্যাটা খুব কম। এই খেলা যুগ যুগ ধরে মানুষকে ভুল বার্তা দিয়ে আসছে।
খেলায় দেখা যায়, লাল কাপড় নাড়িয়ে ষাঁড়কে উত্তেজিত করেন ম্যাটাডোরেরা। সুতরাং মানুষ ধরেই নেয়, লাল কাপড়ের কারণেই ষাঁড় অমন খেপে ওঠে। হ্যাঁ, লাল কাপড় নাড়িয়ে ষাঁড়কে উত্ত্যক্ত করা হয় বটে, কিন্তু এর জন্য কাপড়ের রং লাল হওয়ার দরকার নেই। যেকোনো কাপড় দেখিয়েই ষাঁড়কে উত্তেজিত করা সম্ভব।
আসল সত্যিটা হলো, ষাঁড় বা গরু লাল রং দেখতেই পায় না। শুধু লাল নয়, কোনো রংই ষাঁড়ের চোখে ধরা পড়ে না। কারণ ষাঁড় কালার ব্লাইন্ড।
যাদের গ্রামে বাড়ি তারা হয়তো একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন, গাভি বা গরুকে যখন খাবার দেওয়া হয়, তারা না শুঁকে মুখে দেয় না। সে যত চেনা খাবারই হোক।
না শুঁকে গরু বা ষাঁড়েরা খাবার মুখে না তোলার কারণ, এরা খাবার চিনতে পারে না। রং চিনতে পারে না বলেই খাবার চেনে না। কালার ব্লাইন্ড মানে এই নয়, তারা কোনো বস্তু দেখতে পায় না। দেখতে অবশ্যই পায়, তবে সব বস্তুর একটাই রং, কালচে ধূসর।
গরু চোখের রেটিনা ঠিক আমাদের চোখের মতো নয়। আমাদের চোখে বেনিআসহকলার যেমন সব কয়টি রং এসে ধরা দেয়, গরুর চোখে তেমন ঘটে না। আমাদের চোখ যেমন আল্ট্রাভায়োলেট রে, এক্স-রে, গামা রে, বেতার তরঙ্গ, ইনফ্রারেড তরঙ্গ ধরতে পারে না, তেমনি গরুর চোখ বেনিআসহকলার সাতটি রঙের কোনোটিই ঠিকমতো ধরতে পারে না।
খোলামেলা পোশাকে উন্মুক্ত বক্ষযুগল, ভক্তদের মনে ঝড় তুললেন প্রিয়া প্রকাশ
তাই বলে গরু সব কিছু কালো বা সাদা দেখে না। তবে কালার ব্লাইন্ডরা কোনো বস্তুকে কেমন দেখে সেটা অনুভব আমাদের জন্য কঠিন। তবে ভাসা ভাসা একটা ধারণা করা যেতে পারে, সেই রংটা হয়তো কালচে ধূসর। কালার ব্লাইন্ডদের কাছে গোটা দুনিয়াটাই এমন। অনেক দুর্ভাগা মানুষও আছেন, যাঁরা কালার ব্লাইন্ড।
সূত্র : হাউ ইট ওয়ার্কস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।