লাইফস্টাইল ডেস্ক : দরজায় কড়া নাড়ছে বসন্ত উৎসব। একই সঙ্গে জানান দিচ্ছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও। এ দুই উৎসবই ফুল ছাড়া ভাবা অসম্ভব। ভালোবাসা প্রকাশের সেরা সময় হিসেবে মনে করা হয় এ ঋতুকে। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, এত ফুলের ভিড়ে ভালোবাসা প্রকাশের জন্য গোলাপের দিকেই কেন হাত বাড়িয়েছে মানুষ?
অনেকেই এর সোজা উত্তর দিবে যে, গোলাপ ভালোবাসার প্রতীক। তাই এ ফুলের দিকেই তো সবাই হাত বাড়াবে। কিন্তু কেন? গোলাপই কেন ভালোবাসার প্রতীকের মর্যাদা পেলো, জানেন কী?
গোলাপ এক প্রকারের বহুবর্ষজীবী ফুলের গাছ। এর তিন শতাধিক প্রজাতি এবং কয়েক হাজার জাত রয়েছে। এটি এমন একধরনের গাছপালা গঠন করে, যা ডালপালা খাড়া করে উঠতে বা পেছনে যেতে পারে। ডালপালাগুলোর সঙ্গে প্রায়ই কাঁটা সজ্জিত থাকে। আকার, আকৃতি আর গঠনের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে এই ফুলটিকে বলা হয় ‘ফুলের রানি’।
সাহিত্যিকরা মনে করেন, ফুল সুন্দর হওয়ার কারণেই এর ডালপালায় কাঁটা সজ্জিত থাকে। যাতে সহজে কেউ একে হাতের নাগালে না পায়। প্রকৃতিও চায় সবচেয়ে সুন্দর ফুলটিকে হাতে পেতে সৌন্দর্যপিপাসুর হাত থেকে ঝরে পড়ুক রক্তকণা। এ কারণেই গোলাপকে গভীরতম ভালোবাসার প্রতীকও বলা হয়ে থাকে।
বিভিন্ন রঙের ফুলের মধ্যে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে গোলাপকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। এর প্রচলন ঘটেছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই। রোমান যুগের মানুষও ভালোবাসার অঙ্গ হিসেবে গোলাপের ব্যবহার করে এসেছেন।
হৃদয়ের গভীর অনুভূতিকে ভাষায় রূপ দেয়া কঠিন। তবে সে সহজ কাজটি করে দিতে পারে একটি গোলাপ। উপহার হিসেবে একটি গোলাপের উপস্থিতি প্রকাশ করে না বলা অনেক কথা। তাই প্রেম, ভালোবাসার পরিপূরক হয়ে উঠেছে গোলাপ ফুল।
কথিত রয়েছে, একটি গোলাপ মানুষের ভালোবাসার গভীর অংশটিকে বোঝাতে সাহায্য করে। তাই ভালোবাসার পাশাপাশি মনের বিভিন্ন অনুভূতি প্রকাশের জন্য বিভিন্ন রঙের গোলাপ ব্যবহার করার প্রচলন চালু হতে শুরু করে।
যেমন, হৃদয়ের গভীর ভালোবাসা বোঝাতে লাল গোলাপ, কারো প্রশংসা করতে গোলাপি গোলাপ, তীব্র আবেগ ও আকুতি বোঝাতে কমলা গোলাপ, বন্ধুত্ব বোঝাতে হলুদ গোলাপকে বেছে নেয়ার চল রয়েছে।
সৌন্দর্য, রঙের বৈচিত্র, সাহিত্য, চলচ্চিত্র বা আবেগের যেকোনো দৃষ্টিকোণ থেকেই হিসাব করুন না কেন, গোলাপের সৌন্দর্য আর এর নানা রঙের সঙ্গেই মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় মনের নানা অনুভূতি ও ভালোবাসা। তাই বিশ্বজুড়ে গোলাপই ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।