আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সময়ের সঙ্গে বেড়েই চলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এর ব্যবহার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন এআই ব্যবহার হচ্ছে। বিনোদন মাধ্যমেও বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরিতে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি সংবাদ উপস্থাপনের জন্য এআইয়ের ব্যবহার বেড়ে চলেছে। এবার পোল্যান্ডের একটি রেডিও স্টেশন সাংবাদিক বাদ দিয়ে এআই উপস্থাপক দিয়ে তাদের সম্প্রচার পরিচালনা করছে। এনিয়ে বেশ বিতর্কের মুখে পড়েছে স্টেশনটি।
সিএননের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ পোল্যান্ডের ক্রাকোভ শহরের ওএফএফ রেডিও ক্রাকোভ এই উদ্যোগ নেই। রেডিও স্টেশনটি বলছে তাদের এই উদ্যোগ পোল্যান্ডের প্রথম পরীক্ষা। তারা সাংবাদিকদের পরিবর্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করে একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছে। তরুণ শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা পেতে তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্মিত ভার্চুয়াল চরিত্র বা অবতার ব্যবহার করতে যাচ্ছে। এই উদ্যোগে তারা তিনটি ভার্চুয়াল চরিত্রকে নিয়ে সাংস্কৃতিক, শিল্প ও সামাজিক বিষয় নিয়ে রেডিও অনুষ্ঠান পরিচালনা করানোর পরিকল্পনা করেছে ।
স্টেশনটির প্রধান মার্সিন পুলিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, মিডিয়া, রেডিও ও সাংবাদিকতার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি সম্ভাবনা নাকি হুমকি—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজব আমরা।
স্টেশনটির সাবেক সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র সমালোচক মাতেউশ ডেমস্কি এক খোলা চিঠিতে মানবকর্মীদের এভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে প্রতিস্থাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ডেমস্কি বলেন, এটি একটি বিপজ্জনক নজির তৈরি করেছে যা সবার জন্য ক্ষতিকর। এটি সংবাদমাধ্যম ও সৃজনশীল শিল্পের অভিজ্ঞ কর্মীদের চাকরিচ্যুত করে মেশিনের দ্বারা প্রতিস্থাপনের পথ খুলে দিতে পারে। এজন্য মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেন তিনি। এরপরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
জানা যায় বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত ডেমস্কির আবেদনে ১৫ হাজারেরও বেশি স্বাক্ষর জমা পড়েছে। তিনি জানান, অনেক তরুণই এ ধরনের পরীক্ষার বিরোধিতা করছেন। তিনি আরও জানান, সরকারি ট্যাক্স-সমর্থিত স্টেশন ওএফএফ রেডিও ক্রাকোভ থেকে গত আগস্টে তাকে বরখাস্ত করা হয়। স্টেশন প্রধান পুলিত অবশ্য দাবি করেন যে, এআই-এর জন্য কাউকে চাকরি থেকে সরানো হয়নি। বরং শূন্যের কাছাকাছি শ্রোতা সংখ্যা থাকার কারণে সাংবাদিকদের ছাঁটাই করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, দেশটির ডিজিটাল বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিশটোফ গাওকভস্কি বলেছেন, এআই নিয়ে আইন প্রণয়নের প্রয়োজন রয়েছে, যদিও তিনি এআই উন্নয়নের পক্ষপাতী। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সীমারেখা থাকা জরুরি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।