বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের কাপুর পরিবারের বেশিরভাগ মানুষ কয়েক দশক ধরে চলচ্চিত্রের কাজে সক্রিয় রয়েছেন। এই পরিবার হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে দিয়েছে একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রী। পৃথ্বীরাজ কাপুর থেকে শুরু করে রণবীর কাপুর পর্যন্ত এই পরিবারের অনেকেই হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নাম কুড়িয়েছেন।
তবে কাপুর পরিবারের অভিনেতা শশী কাপুর এমনই একজন ছিলেন, যিনি জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন। তার অসাধারণ অভিনয় এবং নৃত্য ছাড়াও সততা, নম্রতা এবং কাজের প্রতি নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তার নম্রতার সম্পর্কে গল্পটি খুবই বিখ্যাত। অভিনেতা তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘ধর্মপুত্র’-র জন্য জাতীয় পুরস্কারে নির্বাচিত হন। কিন্তু তিনি জাতীয় পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেন।
‘ধর্মপুত্র’ চলচ্চিত্রটি ১৯৬১ সালে মুক্তি পেয়েছিল, যেখানে শশী কাপুর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন। তবে শশী কাপুরের জাতীয় পুরস্কারের ফিরিয়ে দেওয়ার পিছনে একটি বিশেষ কারণ ছিল। তিনি ২০১২ সালে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, তিনি ধর্মপুত্র ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারে মনোনীত হয়েছিলেন, কিন্তু তার পুরস্কার গ্রহণ করা ঠিক বলে মনে হয়নি।
আসলে শশী কাপুর মনে করেছিলেন যে, তার চলচ্চিত্রে কাজের মাধ্যমে এতটাও যোগ্যতা হয়ে ওঠেনি যে তার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিত। জানিয়ে রাখি, ধর্মপুত্র ছবিটি যশ চোপড়া পরিচালনা করেছিলেন।
শশী কাপুরকে সিনেমায় যথেষ্ট অবদান রাখার জন্য ভারত সরকার ২০১১ সালে পদ্মভূষণ ঘোষিত করেছিল। তিনি ২০১৫ সালের দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারও পেয়েছিলেন। তার ব্যক্তিগত জীবনের কথা বললে, তিনি বিদেশি অভিনেত্রী জেনিফার কেন্ডালকে বিয়ে করেন এবং তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। অভিনেতা ২০১৭ সালে ৭৯ বছর বয়সে মারা যান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।