লাইফস্টাইল ডেস্ক: মনোবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দু’বার ভাবা দরকার। আর সম্পর্কের বেলায় তো একাধিক বার না ভেবে কিছু করা মোটেই ঠিক হবে না। সম্পর্কে টিকিয়ে রাখতে সমঝোতা দরকার। কিছু জায়গায় সমঝোতা না করলে, ভাঙনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু কিছু বিষয় একেবারেই বর্জন করা উচিত। ওই বিষয়গুলিকে সহ্য করা মানে, সম্পর্কটা আর সম্পর্ক থাকে না। এ ব্যাপারে আরো জেনে নিন-
* অসম্মানজনক ভাষা
সব সময় ব্যঙ্গ করা, নীচু করার চেষ্টা, অযথা অপমান করার প্রবণতা যদি সঙ্গী বা সঙ্গিনীর থাকে, তাহলে এই স্বভাব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বদলাতে হবে। এটা অসহনীয়। একটা সুস্থ সম্পর্কের অন্যতম ভিত্তি হল একে অপরকে শ্রদ্ধা ও সম্মান। যে সম্পর্কে সম্মান নেই, সেই সম্পর্ক কোন সম্পর্কই নয়।
* সব কাজে নিয়ন্ত্রণ
একটা সুস্থ সম্পর্কে স্বতঃস্ফূর্ততা খুব জরুরি। মনোবিদ অ্যান্দ্রেয়া বনিয়ো জানাচ্ছেন, নিয়ন্ত্রণ ভালো, কিন্তু সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি সব সময়ই সব কিছুতেই কন্ট্রোল করতে বলেন, তাহলে বিষয়টি বিরক্তিকর হয়ে যায়। তখন সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। এরকম হলে, সহ্য না করাই ভালো।
* বিশ্বাসভঙ্গ
বিশ্বাস এমন একটি বস্তু, যা একবার ভঙ্গ হলে জোড়া খুব মুশকিল। সম্পর্কের মূল ভিত্তিও বিশ্বাস। তাই সম্পর্কে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখা ও বিশ্বাসকে যত্নে লালন করা খুবই জরুরি। যদি দেখেন, সঙ্গী বা সঙ্গিনী বার বার বিশ্বাসে আঘাত হানছে, তাহলে আর সময় নষ্ট করা উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন মনোবিদরা।
* যত্নশীল
একে অপরের প্রতি যত্ন নেওয়া, একে অপরের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অন্যতম। যদি দেখান, সঙ্গী বা সঙ্গিনী আপনাকে নিয়ে একেবারেই ভাবিত নয়, সব সময় নিজেরটা ভাবেন, তাহলে সহ্য করা ঠিক নয়। কারণ যত সহ্য করবেন, তত কষ্ট হবে।
* অবহেলা করা
সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে সব সময় আগে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। মনোবিদরা বলছেন, সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে অবহেলা করা, বিশেষ গুরুত্ব না দেওয়া- এই সবই কিন্তু সম্পর্ককে বিষ করে তোলে। অতএব এ সব সহ্য করে একটা সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখা মানে, নিজেকেই কষ্ট দেওয়া।
* আবেগের অভাব
আবেগ ছাড়া বেগ থাকে না। জীবন থেমে যায়। তাই আবেগকে উপেক্ষা করা ঠিক নয়। বেশি আবেগপ্রবণ ঠিক নয়, আবার আবেগহীন হওয়াও ঠিক নয়। সম্পর্কে খুব জরুরি। একে অপরের প্রতি মনের কথাকে সম্মান করা, আবেগের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার।আবেগহীন সম্পর্ক না রাখাই ভালো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।