বিনোদন ডেস্ক : কোনো সম্পর্কে একবার ভাঙ্গন ধরলে কিংবা তিক্ততা দেখা দিলে আদৌ কি তা আর আগের মতন হয়? আজ পর্যন্ত আমার আশে-পাশের কারো ঠিক হতে দেখিনি। একটা সময় পর সামাজিকতা, দায়িত্ববোধ কিংবা পারিবারিক দিকগুলো চিন্তা-ভাবনা করেই হয়তো কখনো এক পক্ষ কিংবা দুই পক্ষই ভালো থাকার অভিনয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু ‘Toxic Partner’ নিয়ে মন থেকে সত্যিই সুখী কয়জন?
যে বাস্তব জীবনে ভালো থাকার অভিনয়ে যতটা সূক্ষ্ম, সে উপরিউপর যতটা খুশি দেখায়, ভেতরে ভেতরে ততটাই ভঙ্গুর। এরা ভালো থাকার অভিনয় করতে করতে একসময় কাঁদতেই ভুলে যায়। অথচ মরচে পড়া সম্পর্ক আগলে না রেখে যদি দু’জনই আলাদা হয়ে যায়, একটা সময় পরে গিয়ে দু’জনই নতুন জীবন শুরু করার আবার সুযোগ পায়।
পৃথিবীতে কোনো সম্পর্ক জোর করে টিকিয়ে রাখার মানে হয় না (এমনকি রক্তের সম্পর্কও না)। রক্তের সম্পর্কের মানুষগুলোর সুখের খোঁজে যেমন আপনি নিঃস্বার্থভাবে দূরে থাকা মেনে নিতে পারেন, তেমনি স্বামী-স্ত্রী কিংবা সম্পর্কের ক্ষেত্রেই শান্তিমূলকভাবে দূরে থাকাই শ্রেয়।
আমি আমার বাবা-মার মধ্যে এক অন্যরকম ভালোবাসা দেখেছি। আমার মনে পড়ে না তাদের বৈবাহিক জীবনে আজ পর্যন্ত কোনো ঝগড়াঝাঁটি কিংবা উচ্চ বাক্য বিনিময় দেখেছি কিনা। সম্পর্কের এমন একটি উচ্চতা আমার ভেতর সেট করা যে, আমি চাইলেই প্রেম কিংবা বিবাহ নামক অশান্তিতে অভ্যস্ত হতে পারি না বা পারবো না।
ভবিষ্যৎ চিন্তা করে প্রেম হয় না, তবে সম্পর্ক হতে হয় ভবিষ্যৎ ভেবেই। ঠিক যখন পর্যন্ত না মনে হয়, সামনের মানুষটির সবথেকে খারাপ মুহূর্তটাতেও আমি পাশে থাকতে পারবো, তার সব থেকে বদ রাগটাও হজম করতে পারবো, তার সব দোষগুলোও মেনে নিতে পারবো, তার দেয়া কষ্টগুলোও ভুলে যেতে পারবো, শুধু মাত্র তখনই তার হাতটা ধরা প্রয়োজন।
প্রাক্তনের সেই ডায়লগটির মতন, ‘আমি যাকে ভালোবাসবো তার পুরোটাকেই ভালোবাসবো। শুধু ভালোটাকে বাসবো আর খারাপটা বাসবো না, তা কি হয় বলো?’ পৃথিবীতে সবাইকে সমানভাবে সহ্য করা যায় না। যার সর্বোচ্চ খারাপ টুকু মেনে নিতে পারবেন, যেই মানুষটি আপনার নিঃশ্বাস পর্যন্ত পৌঁছায়, সেই যেনো কেবল আপনারে পায়!
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।