আবির হোসেন সজল : লালমনিরহাটে “জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই” স্লোগান নিয়ে তিস্তা নদীর তীরবর্তী খুনিয়াগাছ ইউনিয়নে বন্যা কবলিতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে লালমনিরহাটের খুনিয়াগাছ ইউনিয়নে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির আয়োজনে এ ত্রাণ বিতরণ হয়।
ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মালেক হোসেন-এঁর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। এ সময় লালমনিরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক, সহ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবিএম ফারুক সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মজমুল হোসেন প্রামাণিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ত্রাণ বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, তিস্তা এক সময় এ অঞ্চলের মানুষের জীবিকা ও আর্শীবাদের উৎস ছিল। নদীতে মাছ পাওয়া যেতো, মাঝিরা ভাটিয়ালি গান গাইতো।
অথচ এখন তিস্তা নদী মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে একের পর এক বন্যায় মানুষ ভিটে-মাটি হারাচ্ছে। আবার শুষ্ক মৌসুমে নদী পরিণত হয় ধূ-ধূ বালুচরে। এ বাস্তবতা মানুষকে দুই দিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে। জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আরও বলেন, তিস্তার ভাঙ্গনে হাজারও মানুষ বাপ-দাদার ভিটে, বাড়ি-ঘর, কবরস্থান, মসজিদ-মন্দির হারিয়েছে। এমনকি বহু জীবন নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অথচ এতোদিন এই নদীকে ঘিরে টেকসই কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘদিন আমাদেরও এ বিষয়ে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু দাবি করেন, বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত “জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই” কর্মসূচির পর সরকার “তিস্তা মহাপরিকল্পনা” বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে বন্যা ও ভাঙ্গন কবলিত মানুষের দুঃখ-দুর্দশা অনেকটাই কমে আসবে। একই সাথে কৃষি, কর্মসংস্থান ও স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। উল্লেখ্য যে, খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের ৫ শতাধিক বন্যা কবলিতদের মাঝে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।