জুমবাংলা ডেস্ক : সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকায় সরকারি সংরক্ষিত পাহাড় কেটে তৈরি করা হ্রদের বাঁধ অপসারণে অভিযান শুরু করেছে বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন।
শনিবার দুপুর থেকে এই অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতিও নিচ্ছে বন বিভাগ।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২১ সাল থেকে দুই পাহাড়ের মাঝখানে বাঁধ দিয়ে হ্রদ সৃষ্টি করা হয়। হ্রদটি তৈরি করা হয়েছে বনের সোনাকানিয়া নামের একটি ছড়ায় বাঁধ দিয়ে। যার দৈর্ঘ্য ২০০ ফুটের মতো। প্রস্থ ও উচ্চতা যথাক্রমে ২০ ও ১০০ ফুট। এভাবে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আড়াই হাজার একর সরকারি বনভূমি গ্রাস করে চক্রটি।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে হ্রদ তৈরির বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেন জয়নাল আবেদীন নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগটি তদন্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয় চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের (পদুয়া) সহকারী বন সংরক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনকে। তিনি তদন্ত শেষে গত বছর তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন। তদন্ত রিপোর্ট বন্যপ্রাণী ও পাখি শিকার, পাহাড় কাটাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা এবং বাঁধ অপসারণে অভিযান পরিচালনা করতে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম মোস্তাফিজ বলেন, বন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক লোকবল নিয়ে অভিযান শুরু হয়েছে। তবে বিকাল পর্যন্ত পুরোপুরি উচ্ছেদ বা বাঁধ কাটা শেষ করতে পারেনি। ঘটনাস্থলে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস বলেন, হ্রদের অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। প্রভাবশালীরা যত শক্তিশালীই হোক তাদের কোনো ছাড় নেই। বাঁধ পুরোপুরি উচ্ছেদ করে আগের পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।