আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চার হাজার বছরেরও বেশি আগে নির্মিত মিশরের পিরামিডের রহস্য ভেদে বিরাট সাফল্যের দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিভাবে এগুলো নির্মাণ করা হয় এবং এবং কিভাবে এতবছর ধরে টিকে আছে তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালাচ্ছেন নর্থ ক্যারোলিনা উইলমিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। বিশ্ববিখ্যাত ‘দ্য জার্নাল নেচার’ তাদের গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। (বিবিসি ১৯-০৬-২০২৪)
গবেষকদল জানান, পিরামিডগুলো বহুবছর আগে হারিয়ে যাওয়া নীল নদের একটি প্রাচীন শাখা ধরেই হয়তো নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর সেই শাখাটি মরুভূমি ও কৃষিজমির নিচে চাপা পড়ে আছে। ‘আহরামাত’ নামে নীল নদের সেই শাখাটি খুঁজে পেয়েছেন তারা। আহরামাত শব্দের অর্থ পিরামিড। নীল নদের ওই শাখাটি সম্ভবত ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২০০ থেকে ৭০০ মিটার প্রশস্ত ছিলো।
বিশালাকার পিরামিডগুলো কিভাবে নির্মাণ সম্ভব হয়েছে এবং কোন প্রযুক্তির বলে সেই প্রাচীন আমলে স্থাপনাগুলো নির্মিত হয়েছে সেটা নিয়েই বহু বছর ধরে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।
অনেক বছর ধরেই প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন যে কাছের কোনো নদীপথ ধরেই প্রাচীন মিশরীয়রা বড় বড় পাথরখণ্ডসহ পিরামিড তৈরির উপকরণ বহন করেছেন এবং নদীর ওপরই সেগুলো নির্মিত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সেই নদীর অবস্থান, কতবড় ছিলো সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নর্থ ক্যারোলিনা উইলমিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের একজন অধ্যাপক এমান গোনাইম।
গবেষকরা ভূ-উপগ্রহের ছবি, ঐতিহাসিক মানচিত্র, ভূ-পদার্থগত জরিপ ও পলল কেরিংয়ের মাধ্যমে নদীর ওই শাখাটি খুঁজে পান। বহুবছর আগে বড় ধরনের খরা ও ধুলিঝড়ের কারণে এটি মাটির নিচে চাপা পড়ে গেছে। তারা নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করে বালির পৃষ্ঠে প্রবেশ এবং লুকানো বৈশিষ্টের ছবি ব্যবহার করে এটি শনাক্ত করেন।
গবেষক দলের আরেকজন ড. সুজান অন্সটিয়েন বলেন, আমাদের হাতে যে তথ্য রয়েছে তাতে বলা যায় এখানে একটি জলপথ ছিলো। পিরামিডের ভারী ব্লক, সরঞ্জাম, শ্রমিকসহ সবকিছু বহনে ওই জলপথটি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাচীণ মিশরীয়রা শ্রমিকের পরিবর্তে নদীর স্রোতকে কাজে লাগিয়ে ভারী ভারী পাথরখণ্ড এনেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।