লাইফস্টাইল ডেস্ক : চুল ভাল রাখতে কত কিছুই না করেন। দামি তেল, শ্যাম্পু তো আছেই। ইন্টারনেট খুঁজে চুলের সিরাম বা জেল তৈরির পদ্ধতিও শিখে নিয়েছেন। তাতেও কাজ হচ্ছে না খুব একটা। চুল যে কে সেই ঝরছে। রুক্ষও হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। গরমের দিনে আবার মাথায় ঘাম বসে চুলের তৈলাক্ত ভাব বাড়ছে। শ্যাম্পু করেও সে সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। চুল ভাল রাখতে প্রসাধনী সাময়িক ভাবে কাজ করে, এমনটাই দাবি গবেষকদের। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, চুল ভাল রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তা কেবল প্রসাধনী বা চুলের পরিচর্যা নয়। কী কী সেই নিয়ম, শেখালেন গবেষকেরা।
চুল ভাল রাখার ৫ প্রাকৃতিক উপায়
পাতে থাকবে প্রোটিন
চুল ভাল রাখতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খুব জরুরি। আমিষের মধ্যে ডিমে প্রোটিন ও বায়োটিন ভরপুর মাত্রায় পাওয়া যায়। চুলের গোড়া মজবুত করতে বায়োটিন অপরিহার্য। পাশাপাশি, মাছেও ভাল মানের প্রোটিন থাকে। এ ছাড়া পমফ্রেট, কাতলা বা ইলিশ মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এর সঙ্গেই চুল পড়া বন্ধ করতে ও পাকা চুলের সমস্যা দূর করতে বাদাম ও বীজও খেতে হবে।
রোজ়মেরি অয়েল
রোজ়মেরি তেল চুল পড়া, অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা দূর করতে পারে। পাশাপাশি মাথার তালুতে চুলকানি, খুশকি, রুক্ষ চুল, ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যা দূর করতেও কার্যকরী। নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা রোজমেরি অয়েল মিশিয়ে চুলে মাখতে পারেন। গাছের পাতা জলে ফুটিয়েও মাথার ত্বকে তা মেখে রাখা যেতে পারে। তবে অনেকেরই এই নির্যাস থেকে ত্বকে অ্যালার্জি বা অস্বস্তি হতে পারে। তাই সরাসরি রোজ়মেরি অয়েল ব্যবহার করার আগে সতর্ক হতে হবে। রোজ়মেরি পাতার নির্যাস অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় মাখতে পারেন। স্নানের আগে মেখে ২০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
আয়রন ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার
চুলের জন্য জরুরি আয়রন ও জিঙ্ক। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেলে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়বে। নতুন চুল গজাবে। চিকেন, নানা রকম ডাল, ছোলা, কুমড়োর বীজে আয়রন ও জিঙ্ক পাবেন। তিসির বীজ ও সূর্যমুখীর বীজে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। আলু, মাশরুম, বিন্সেও জিঙ্ক থাকে।
কেশসজ্জার সময়ে সাবধান
খুব বেশি টেনে চুল বাঁধলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়বেই। এখন নানা রকম কেশসজ্জার চল হয়েছে। অভিজ্ঞ কারও থেকে করালে ভাল, নিজে থেকে করতে গেলে চুলের আরও বারোটা বেজে যাবে। তা ছাড়া চুলে নানা ধরনের রং করাচ্ছেন অনেকেই। এই সব রঙের রাসায়নিক চুলের ক্ষতি করছে। রং করার পর চুলে সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহার করা জরুরি। এই ধরনের শ্যাম্পু রং বিবর্ণ না করে চুলের ময়লা পরিষ্কার করে।
৭-৯ ঘণ্টা ঘুম
ঘুমের ঘাটতি, অনিদ্রার সমস্যাও কিন্তু চুল পড়ার কারণ। রাত জেগে মোবাইল স্ক্রল করা, বেশি রাতে অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার অভ্যাসও চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। চুল ভাল রাখতে হলে রাতে ৭-৯ ঘণ্টার ঘুম জরুরি। এতে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যও বজায় থাকবে, চুলেরও ক্ষতি হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।