জুমবাংলা ডেস্ক : এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬ কোটি ডলার কমেছে। আর ৩১ জুলাই থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত গত তিন মাসে রিজার্ভ কমেছে ৩০১ কোটি বা ৩ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২৫ অক্টোবর রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভ ২ হাজার ৮৯ কোটি ডলার বা ২০ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার।
নথি অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ৪০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষে তা দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে। অর্থ্যাৎ গত দুই বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ অর্ধেক কমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিপিএম ৬ অনুযায়ী বর্তমানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে ২ হাজার ৮৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। চলতি মাসের ১৮ তারিখে যার পরিমাণ ছিলো ২ হাজার ৯৫ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। অর্থাৎ অক্টোবর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে রিজার্ভ কমেছে ৬ কোটি ৮ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছর ধরে প্রায় প্রতি মাসেই রিজার্ভ গড়ে ১০০ কোটি বা ১ বিলিয়ন ডলার করে কমেছে। অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচকটি নিম্নমুখী হওয়ার জন্য বৈশ্বিক সংকটের পাশাপাশি সরকারের কিছু ভুল নীতিকেও দায়ী করেছেন অর্থনীতিবিদরা।
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে পণ্যের দাম বেড়েছে, যা বাংলাদেশের মতো আমদানি-নির্ভর দেশগুলোর রিজার্ভে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আমদানি পরিশোধে ব্যাংকগুলো, বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে মার্কিন ডলার সহায়তা নিচ্ছে। ফলে, দেশের রিজার্ভ কমছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের মার্কিন ডলারের সবচেয়ে বড় দুটি উৎস রপ্তানি ও প্রবাসী আয় প্রত্যাশার চেয়ে কমেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।