আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের একটি শুনানিতে ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে অবস্থানের জেরে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার প্রেসিডেন্ট লিজ ম্যাগিল পদত্যাগ করেছেন।
আইভি লিগ স্কুলের পক্ষ থেকে শনিবার তার পদত্যাগের খবর জানানো হয়।
অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসগুলোতে ইহুদিবিদ্বেষ বেড়ে গেছে। যা নিয়ে গত মঙ্গলবার একটি কংগ্রেসনাল কমিটির শুনানি হয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টরা তাদের সাক্ষ্য দেন।
ওই দিন যে তিনজন শীর্ষ ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্ট তাদের বক্তব্যের জন্য সমালোচিত হচ্ছেন তাদের একজন ম্যাগিল।
পদত্যাগ করলেও একজন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ম্যাগিল দায়িত্ব পালন করে যাবেন বলে জানিয়েছেন ফিলাডেলফিয়া ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ট্রাস্টি বোর্ড এর প্রধান স্কট বুক।
শনিবার ম্যাগিলের পদত্যাগের খবর জানিয়ে দেওয়া বিবৃতিতে বুক বলেন, “আমি আপনাদের জানাচ্ছি যে, প্রেসিডেন্ট লিজ ম্যাগিল স্বেচ্ছায় পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।”
তবে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও ম্যাগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন স্কুলের একজন স্থায়ী ফ্যাকাল্টি সদস্য থাকবেন।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের একটি কমিটির সামনে সাক্ষ্য দেন ম্যাগিল, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিন গে এবং ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোল্যজির প্রেসিডেন্ট স্যালি কর্নব্লুথ।
সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তারা বাকস্বাধীনতার পক্ষে অবস্থানের চেষ্টা করেছেন। যে কারণে তারা রিপাবলিকান প্রতিনিধি এলিস স্টেফানিকের একটি প্রশ্নের জবাব এক কথায় ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ তে দিতে অস্বীকৃতি জানান। স্টেফানিক জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “বুলি করা ও হয়রানি করার জন্য ইহুদিদের গণহত্যার আহ্বান জানানো (আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের) আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কি না? হ্যাঁ বা না?”
সাক্ষ্য গ্রহণের পর থেকে ম্যাগিল ও গে’র পদত্যাগের জোরাল দাবি ওঠে। ম্যাগিল গত বুধবার একটি ভিডিওতে নিজের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার গেও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ইহুদি শিক্ষার্থী, পরিবার এবং অ্যালামনাই থেকে অভিযোগ উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলগুলো ইহুদিবিদ্বেষকে মেনে নিচ্ছে। বিশেষ করে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।