লাইফস্টাইল ডেস্ক : ছাগল আমাদের দেশের অতিপরিচিত প্রানী গুলোর মধ্যে একটি। ছাগল পালন আমাদের দেশের গ্রমীন পর্যায়ের মানুষের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। কেননা ছাগল সহজেই যে কেউ পালন করতে পারে। এটি পালন করতে খরচ কম হয় এবং আমাদের আশেপাশে থাকা গাছের পাতা সহ বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে ছাগল বড় হয়। এই খরচ কম হওয়ার কারনে মহিলারা ছাগল পালম করে থাকে। ছাগল পালন করার পর বড় হয়ে গেলে সেটা তারা হাটে বিক্রি করে দেয় এবং ভাল পরিমান অর্থ আসে।
এভাবে তারা নিজেদের স্বাবলম্বী হতে থাকে। এখন গ্রামের দিকে গেলে যথেষ্ট পরিমান ছাগলের খামার দেখতে পাওয়া যায়। বর্তমানে বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে ছাগলের খামার করে বর্তমানে তরুন উদ্যোক্তা গড়ে উঠছে। শুধু মাত্র ছাগল পালন নয় গরু পালন করে এখন বহু লোক গরুর খামারি হচ্ছে। যদিও এদের গল্পটা কয়েকটি গরু নিয়েই শুরু হয়েছিল।
গরু ছাগল পালন করতে খরচ কোনটিতে খরচ কম : ছাগল পালন করে খরচ কম কিন্তু গরুর খামার করলে কিংবা গরু পালন করতে গেলে খরচ বেশি হয়। এর একমাত্র কারন হচ্ছে গরুর খাবার। বর্তমানে এদের খাবারের দাম বেশি হওয়ার কারনে গরু পালনকারীদের খরচ বেশি হয়। তবে গরুর খাবার ছাড়াও আরও কিছু কারন আছে যেমন জায়গা বেশী লাগে, বেশী গরম আবহওয়া হলে ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হয়। আবার গরু যেখানে থাকে সেখানে সেখানে বাতাসের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা দেখতে হয়।
কিন্তু ছাগলের অত ঝামেলা হয় না। কারন আকারে ছোট হওয়ার কারনে এদের জায়গা কম লাগে। গরুর তুলনায় খাবার কম লাগে। এছাড়াও ছাগলের প্রধান খাবার গাছের পাতা। আম গাছ কিংবা কাঁঠাল গাছ এর পাতা ছাগল খেয়ে থাকে। ছাগল বেধে না রেখে ছেড়ে দিয়ে রাখলে এরা নিজেরাই বাহিরে গিয়ে ঘুরে ঘুরে খেয়ে থাকে। আপনি কি জানেন, যে কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল হলেও আমাদের জাতীয় গাছ আম গাছ।
ছাগল আমাদের চারপাশে থাকলেও কিছু কিছু এমন তথ্য আছে যা আমরা জানি না। ছাগলের সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে কিছু নতুন তথ্য জানাব যা পূর্বে আপনাদের জানার পরিধির বাহিরে ছিলঃ
এরা দ্রুত খেতে পারে। এদের জিহ্বা দিয়ে যে কোন কিছুর গন্ধ নিয়ে এরা দ্রুতই তাদের রুচি সম্মত খাবার এরা মুখ দিয়ে খেয়ে ফেলে। বড়ই গাছের পাতে খাওয়ার সময় এদের এই বিষয়টি দ্রুত লক্ষ্য করা যায়।
এদের মুখ এবং জিহ্বা সর্বদাই পরিষ্কার এবং ভাল খাবার খুঁজে থাকে। এমন কি এরা পড়ে থাকা খাবারও কখনও কখনও মুখে তোলে না। বরং এড়িয়ে চলে যায়। তবে পরিষ্কার জায়গায় থাকলে তা খেয়ে থাকে।
ছাগল প্রায় প্রায়ই হাঁচি দিয়ে থাকে। এই হাঁচি তাদের এলার্ম হিসেবে কাজ করে। তারা বিপদে পড়লে অথবা বিপদে পড়ার কথা যদি কল্পনা করে তাহলে তারা এমন করে থাকে।
এরা পানি পছন্দ করে না কিন্তু কোন নালা বা ডোবা কিংবা হালকা স্রোত যুক্ত পানির উপর দিয়ে লাফ দিতে পছন্দ করে। ছাগলের বাচ্চা একটি হোক কিংবা একাধিক সারাক্ষন লাফিয়ে বেড়ায়।
এদের যথেষ্ট পরিমান বুদ্ধি আছে এবং এরা সর্বদাই কৌতুহলী। এই কারনেই এরা কোন কিছু মনযোগ দিয়ে দেখে।
এদের চোখের পিউপিল আয়তাকার আকৃতির। এই কারনে এরা মাথা না নাড়িয়ে উপরে কিংবা নিচে দেখতে পারে না। বরং উপরে এবং নিচে দেখতে হলে ছাগলকে মাথা ঘুরিয়ে দেখতে হয়।
ছাগলের উপরের পাটিতে কোন দাঁত থাকে না বরং এদের দাঁত নিচের পাটিতেই থাকে।
জাবর কাটা কি : গরু এবং ছাগলের ক্ষেত্রে একটি বিষয় ভালভাবে লক্ষ্য করা যায় যে, এরা খাওয়ার সময় পর্জাপ্ত পরিমানে খেয়ে থাকে। কিন্তু যখন বসে থেকে বিশ্রাম করে তখন তাদের মুখ নড়তে দেখতে পাওয়া যায়। এই মুখ নড়ানোটাই জাবর কাটা। বিশ্রাম নেওয়ার সময় এরা খাবারটা পুনারায় মুখে নিয়ে আসে এবং খাবার ভালমত চাবায় এবং তারপর পুনারায় গিলে খায়।
আমরা খাবার খাওয়ার সময় ভালমত চাবাই এবং তারপর গিলে থাকি। কিন্তু গরু ছাগল তা করে না। এরা বরং এই কাজ করে প্রথমে খেয়ে নেয় এবং পরে বিশ্রামের সময় পুনারায় ঐ খাবার মুখে নিয়ে এসে চাবায় খায়। জিরাফও এমন কাজ করে থাকে। জিরাফ অন্যান্য সকল প্রানিদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা প্রানী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।