জুমবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ তিন বছর পর আবার শুরু হচ্ছে বিরল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের যাত্রী পারাপার। ইতিমধ্যেই এই ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত গমনেচ্ছু যাত্রীদের ভিসার আবেদন নেওয়া শুরু করেছে ভারতীয় হাই কমিশন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিরল ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম।
বৈশ্বিক করোনা মহামারির পর গত ২০২০ সালের ১২ মার্চ বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশের বিরল ও ভারতের রাধিকাপুর ইমিগ্রেশন দিয়ে দুই দেশের যাত্রী পারাপার। একই সময়ে দেশের অধিকাংশ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর অধিকাংশ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালু হলেও ভারত সরকার ভিসা না দেওয়ার কারণে চালু হয়নি বিরল ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপার। ভারতের রাধিকাপুর থেকে ট্রেন সার্ভিস থাকলেও গুরুত্বপুর্ণ এই ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকায় চরম অসুবিধায় পড়েন দিনাজপুরসহ এই অঞ্চলের ভারত গমনেচ্ছু যাত্রীরা। বিশেষ করে রোগীরা পড়েন চরম দুর্ভোগের মধ্যে। এই অবস্থায় সম্প্রতি রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে বসলে তিনি বিরল-রাধিকাপুর ইমিগ্রেশন দিয়ে ভিসা প্রদানের আশ্বাস দেন। সেই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ এপ্রিল থেকে এই ইমিগ্রেশন দিয়ে ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিরল ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম গতকাল বুধবার জানান, করোনার পর থেকে সার্ভারে বিরল-রাধিকাপুর ইমিগ্রেশন দিয়ে ভিসার আবেদন বন্ধ রেখেছিল ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। গত ১০ এপ্রিল থেকে তা চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত ১০ এপ্রিল থেকে বিরল-রাধিকাপুর ইমিগ্রেশন দিয়ে ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে ভারতীয় হাই কমিশন। ১০ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও ভিসা সেন্টারে বেশ কয়েক জন ভিসার আবেদন জমা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বিরল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি পুলিশের উপপরিদর্শক জহুরুল ইসলাম জানান, এই ইমিগ্রেশন দিয়ে গমনেচ্ছু যাত্রীদের ভিসার আবেদন নেওয়া শুরু করেছে ভারতীয় হাই কমিশন। ভিসা পেলেই এই ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হবে। তারা প্রস্তুত রয়েছেন। উপপরিদর্শক জহুরুল ইসলাম আরো জানান, করোনা পরিস্থিতিতে এই ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট বন্ধ ছিল না। কারণ বিরল স্থলবন্দর দিয়ে মালবাহী ট্রেন চলাচল চালু রয়েছে। ভারতে কোনো ট্রেন চালক বাংলাদেশে এলে বা বাংলাদেশের কোনো ট্রেন চালক ট্রেন নিয়ে ভারতে গেলে তাদের ইমিগ্রেশন করতে হয় এই চেকপোস্টে।
এদিকে বিরল-রাধিকাপুর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের যাত্রী পারাপার আবার শুরু হচ্ছে—এমন খবরে খুশি এই অঞ্চলের ভারত গমনেচ্ছু যাত্রীরা। রাধিকাপুর রেল স্টেশন থেকে কোলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু আছে। এই ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে গেলে সীমান্তসংলগ্ন রেলস্টেশনেই তারা কলকাতার ট্রেন ধরতে পারবেন। এতে তাদের আর বেশিদূর ঘুরতে হবে না এবং দুর্ভোগে পড়তে হবে না।
কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হলে যা বলেছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।